করোনাভাইরাসের মহামারীর কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউরোপ। এতে আসন্ন ক্রিসমাস সামনে রেখে কিছু দেশের সরকার অজনপ্রিয় লকডাউন পুনরায় আরোপের বিষয়ে ভাবছেন। শুধু টিকাই কভিড-১৯ প্রতিরোধে যথেষ্ট কিনা সেই বিতর্কও খুব জোরালোভাবে সামনে চলে আসছে।
গত সাতদিনে বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ইউরোপের। সবশেষ মোট মৃত্যুর হিসাবেও এ সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এ পরিসংখ্যান উঠে আসে। রয়টার্স আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যাকে গতবছরের এপ্রিল থেকে সর্বোচ্চ বলছে, যখন মাত্রই ইতালিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
শীত ও ফ্লু সিজনের আগে সফল টিকা কার্যক্রমের প্রচারাভিযানের মধ্যেই নতুন সংকট সামনে এলো। ইইউ তথ্য কেন্দ্রের হিসাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইসল্যান্ড, লিচেনস্টেইন ও নরওয়েসহ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইএ) ৬৫ শতাংশ জনগন দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।
যদিও সাম্প্রতিক কয়েক মাসে টিকা কার্যক্রমের গতি কিছুটা কমে এসেছে। দক্ষিণ ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশের টিকার ডোজ সম্পন্ন হলেও মধ্য ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ ও রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বেড়েছে। এতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো ফের উপচে পড়ছে আক্রান্তদের সেবায়।
জার্মানি, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের সংক্রমণ বৃদ্ধি; সরকারকে একদিকে নতুন আক্রান্ত অন্যদিকে টিকাদান সম্পন্ন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু একবছর আগের তুলনায় কম।
৭ নভেম্বর প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সপ্তাহের প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাশিয়াসহ একমাত্র ইউরোপীয় অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ৭ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে অন্য এলাকায় কমেছে অথবা স্থিতিশীল রয়েছে। একইভাবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইইউ এলাকায় মৃত্যু হার বেড়েছে ১০ শতাংশ, অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে এই হার পড়তির দিকে।