Dhaka শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণে মামলায় সাবেক তারকা ফুটবলার রবিনহো গ্রেফতার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • ২২৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রবিনহো। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে সান্তোসে নিজ ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। অবশ্য এই মামলায় দুই বছর আগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। সেখানে তার ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়। আর সেই কারাদণ্ড ভোগের জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিনহো ধর্ষণের কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ইতালি। প্রথমে রবিনহোর নয় বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। পরে বুধবার (২০ মার্চ) সেই রায় বহাল রেখেছে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার আদালত।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অবিলম্বে রবিনহোর সাজার মেয়াদ শুরু করতে হবে। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রবিনহোর আইনজীবী জোসে আলকমিন। তবে এখনই হাল ছাড়ছেন না তারা। সাংবাদিকদের আলকমিন জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

রবিনহো ধর্ষণের কাণ্ড ঘটান ২০১৩ সালে এসি মিলান ক্লাবে থাকাকালীন। ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর মিলানের একটি নাইট ক্লাবে ২৩তম জন্মদিন পালন করছিলেন আলবেনীয় বংশোদ্ভূত এক নারী। সেখানেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাতে জড়িত ছিলেন রবিনহো ও তার বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকো। তারা সহ মোট ছয়জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

২০১৭ সালে ইতালির একটি আদালত রবিনহোকে এই কারাদণ্ড দেয়। তবে সেসময় ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন রবিনহো। আর ব্রাজিলের আইনে আসামি হস্তান্তরের নিয়ম নেই। তাই ইতালির সরকার ব্রাজিলের কাছে অনুরোধ করে রবিনহোকে যেন নিজ দেশেই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত ‘সুপেরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস’ মামলাটি নতুন করে বিচার না করে ইতালির মামলার কাগজপত্র দেখে রায়ের বৈধতা দেয় এবং রবিনহোকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।

অবশ্য রবিনহো ইতালির বিচার ব্যবস্থাকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্য করেছিলেন। ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে আরও বলেছেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে যাই ঘটেছে সেটা ছিল সম্মতিমূলক।’ তবে রবিনহোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এটিই প্রথম ছিল না। ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিনি আটক হয়েছিলেন। তবে সেবারে তদন্তের পর মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে যে বিখ্যাত ক্লাবে খেলেছিলেন, সেই সান্তোসে ক্যারিয়ার শুরু করেন রবিনহো। তাকে রোনালদো, রিভালদো ও রোনালদিনহোর সোনালী প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে তিনি সান্তোস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো ও ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে যোগ দেন।

ব্রাজিলের জার্সিতে ২০০৫ ও ২০০৯ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিলেন রবিনহো। ২০২০ সালে সান্তোসে ফিরে আসলেও ভক্ত, স্পন্সর এবং গণমাধ্যমের চাপের পরে ক্লাবটি চুক্তি বাতিল করে। যার ফলে তার ক্যারিয়ারের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটেছিল। দুই বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা এই ফুটবলার সম্প্রতি ব্রাজিলের একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ওই নারীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক সম্মতিতে হয়েছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ

ধর্ষণে মামলায় সাবেক তারকা ফুটবলার রবিনহো গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রবিনহো। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে সান্তোসে নিজ ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। অবশ্য এই মামলায় দুই বছর আগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। সেখানে তার ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়। আর সেই কারাদণ্ড ভোগের জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিনহো ধর্ষণের কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ইতালি। প্রথমে রবিনহোর নয় বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। পরে বুধবার (২০ মার্চ) সেই রায় বহাল রেখেছে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার আদালত।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অবিলম্বে রবিনহোর সাজার মেয়াদ শুরু করতে হবে। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রবিনহোর আইনজীবী জোসে আলকমিন। তবে এখনই হাল ছাড়ছেন না তারা। সাংবাদিকদের আলকমিন জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

রবিনহো ধর্ষণের কাণ্ড ঘটান ২০১৩ সালে এসি মিলান ক্লাবে থাকাকালীন। ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর মিলানের একটি নাইট ক্লাবে ২৩তম জন্মদিন পালন করছিলেন আলবেনীয় বংশোদ্ভূত এক নারী। সেখানেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাতে জড়িত ছিলেন রবিনহো ও তার বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকো। তারা সহ মোট ছয়জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

২০১৭ সালে ইতালির একটি আদালত রবিনহোকে এই কারাদণ্ড দেয়। তবে সেসময় ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন রবিনহো। আর ব্রাজিলের আইনে আসামি হস্তান্তরের নিয়ম নেই। তাই ইতালির সরকার ব্রাজিলের কাছে অনুরোধ করে রবিনহোকে যেন নিজ দেশেই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত ‘সুপেরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস’ মামলাটি নতুন করে বিচার না করে ইতালির মামলার কাগজপত্র দেখে রায়ের বৈধতা দেয় এবং রবিনহোকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।

অবশ্য রবিনহো ইতালির বিচার ব্যবস্থাকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্য করেছিলেন। ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে আরও বলেছেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে যাই ঘটেছে সেটা ছিল সম্মতিমূলক।’ তবে রবিনহোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এটিই প্রথম ছিল না। ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিনি আটক হয়েছিলেন। তবে সেবারে তদন্তের পর মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে যে বিখ্যাত ক্লাবে খেলেছিলেন, সেই সান্তোসে ক্যারিয়ার শুরু করেন রবিনহো। তাকে রোনালদো, রিভালদো ও রোনালদিনহোর সোনালী প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে তিনি সান্তোস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো ও ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে যোগ দেন।

ব্রাজিলের জার্সিতে ২০০৫ ও ২০০৯ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিলেন রবিনহো। ২০২০ সালে সান্তোসে ফিরে আসলেও ভক্ত, স্পন্সর এবং গণমাধ্যমের চাপের পরে ক্লাবটি চুক্তি বাতিল করে। যার ফলে তার ক্যারিয়ারের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটেছিল। দুই বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা এই ফুটবলার সম্প্রতি ব্রাজিলের একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ওই নারীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক সম্মতিতে হয়েছিল।