Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত ২০০ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গাজায় বন্দি চার ইসরিইলি নারী সেনার মুক্তি দেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে এসব বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হল।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরের দিকে চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়া হয়। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তাদের নাম ঘোষণা করে হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন যথাক্রমে করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ।

আল জাজিরা জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারী সেনা সুস্থ রয়েছে। মুক্তির সময় তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্যাগ ছিল। তাদেরকে হাসিমুখে জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা যায় এবং তারা বিজয়সূচক চিহ্নও দেখিয়ে ছবিও তোলেন।

চার নারীর সেনাকে হাতে পাওয়ার পর শনিবার বিকেলের দিকে রামাল্লার কাছে ওফার কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয় ইসরাইল। এরপর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের তিনটি বাসে করে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে নেয়া হয়।

বেইতুনিয়ায় তাদেরকে স্বাগত জানায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ যেখানে তারা আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় ধূসর জাম্পস্যুট পরা বন্দিদের বাস থেকে নেমে আসতে দেখা যায়। এ সময় তারা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশ কয়েক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি রয়েছেন। তারা সবাই হয় যাবজ্জীবন অথবা দীর্ঘমেয়াদী সাজা ভোগ করেছেন। মোহাম্মদ আল-তুস নামে একজন বন্দি প্রায় চার দশক ধরে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে ১৯৮৫ সালে গ্রেফতার করা হয়।
আল-তুস ফাতাহ‘র সদস্য ছিলেন, যা এখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশ। তিনি সেই সময় ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন এবং জর্ডান সীমান্তে একটি বড় বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।

যে ৭০ জন ব্যক্তিকে মিশরে পাঠানো হবে তাদের একজন এই আল-তুস। রামাল্লাহর কাছে আমারি বন্দিশিবিরে একটি ফিলিস্তিনি পরিবার বন্দি রয়েছে। যাদের পাঁচজনই সহোদর ভাই। তাদের মধ্যে তিনজনকে আজ মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সবাইকে মিশরে নির্বাসিত করা হবে। আরেকজন কারাগারে ক্যান্সারে মারা গেছেন।

যুদ্ধিবিরতি চুক্তি শর্ত অনুসারে ইসরাইলি বাহিনীর এখন গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে সরে যাওয়ার কথা। এবং এরপর উদ্বাস্তু গাজাবাসী তাদের ঘরে ফিরবেন। কিন্তু বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করিডোর খোলার চুক্তি না মানার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এরপর ইসরাইলি সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল হার্জি হালেভি উদ্বাস্তু গাজাবাসীকে নেটজারিম করিডোরে এখনই না ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী নেটজারিম করিডোরের মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে এবং ‘অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত’ ওই এলাকায় বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত ২০০ ফিলিস্তিনি

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গাজায় বন্দি চার ইসরিইলি নারী সেনার মুক্তি দেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে এসব বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হল।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরের দিকে চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়া হয়। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তাদের নাম ঘোষণা করে হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন যথাক্রমে করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ।

আল জাজিরা জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারী সেনা সুস্থ রয়েছে। মুক্তির সময় তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্যাগ ছিল। তাদেরকে হাসিমুখে জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা যায় এবং তারা বিজয়সূচক চিহ্নও দেখিয়ে ছবিও তোলেন।

চার নারীর সেনাকে হাতে পাওয়ার পর শনিবার বিকেলের দিকে রামাল্লার কাছে ওফার কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয় ইসরাইল। এরপর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের তিনটি বাসে করে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে নেয়া হয়।

বেইতুনিয়ায় তাদেরকে স্বাগত জানায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ যেখানে তারা আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় ধূসর জাম্পস্যুট পরা বন্দিদের বাস থেকে নেমে আসতে দেখা যায়। এ সময় তারা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশ কয়েক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি রয়েছেন। তারা সবাই হয় যাবজ্জীবন অথবা দীর্ঘমেয়াদী সাজা ভোগ করেছেন। মোহাম্মদ আল-তুস নামে একজন বন্দি প্রায় চার দশক ধরে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে ১৯৮৫ সালে গ্রেফতার করা হয়।
আল-তুস ফাতাহ‘র সদস্য ছিলেন, যা এখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশ। তিনি সেই সময় ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন এবং জর্ডান সীমান্তে একটি বড় বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।

যে ৭০ জন ব্যক্তিকে মিশরে পাঠানো হবে তাদের একজন এই আল-তুস। রামাল্লাহর কাছে আমারি বন্দিশিবিরে একটি ফিলিস্তিনি পরিবার বন্দি রয়েছে। যাদের পাঁচজনই সহোদর ভাই। তাদের মধ্যে তিনজনকে আজ মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সবাইকে মিশরে নির্বাসিত করা হবে। আরেকজন কারাগারে ক্যান্সারে মারা গেছেন।

যুদ্ধিবিরতি চুক্তি শর্ত অনুসারে ইসরাইলি বাহিনীর এখন গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে সরে যাওয়ার কথা। এবং এরপর উদ্বাস্তু গাজাবাসী তাদের ঘরে ফিরবেন। কিন্তু বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করিডোর খোলার চুক্তি না মানার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এরপর ইসরাইলি সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল হার্জি হালেভি উদ্বাস্তু গাজাবাসীকে নেটজারিম করিডোরে এখনই না ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী নেটজারিম করিডোরের মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে এবং ‘অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত’ ওই এলাকায় বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।