Dhaka সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরেকটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব : মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আরেকটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, যদি এদেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, মুক্তির লড়াই যাবে। খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটি লাশ পরলে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।

অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখেছি। এখনও মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।

বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।

যারা এদেশে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদেরও নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না। এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।

মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে কব্জা করা হয়েছে। এদের একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে দেশবিরোধী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে দিয়েছে, আরেকটি অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

এসব ব্যক্তিকে ভিনদেশি ‘এসেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহফুজ বলেন, এই ভিনদেশি এসেটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওসমান হাদি। ওসমান হাদি বাংলাদেশের সম্পদ হলেও বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হত্যার জন্য নানা যুক্তি তৈরি করেছে।

ওসমান হাদিকে যখন গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, তাকে আক্রমণ করার সময় কেউ কথা বলেনি, কেউ প্রতিবাদ করেনি। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই যেন আমাদের সঙ্গে নাটক করছে। এই নীরবতাকেও তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন মুজিববাদী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর চোরমারের ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা সংবরণ করেছিলাম। ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, আর ক্ষমা করব না।

আবহাওয়া

পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস

আরেকটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব : মাহফুজ আলম

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আরেকটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, যদি এদেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, মুক্তির লড়াই যাবে। খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটি লাশ পরলে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।

অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখেছি। এখনও মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।

বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।

যারা এদেশে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদেরও নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না। এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।

মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে কব্জা করা হয়েছে। এদের একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে দেশবিরোধী ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে দিয়েছে, আরেকটি অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

এসব ব্যক্তিকে ভিনদেশি ‘এসেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহফুজ বলেন, এই ভিনদেশি এসেটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওসমান হাদি। ওসমান হাদি বাংলাদেশের সম্পদ হলেও বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হত্যার জন্য নানা যুক্তি তৈরি করেছে।

ওসমান হাদিকে যখন গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, তাকে আক্রমণ করার সময় কেউ কথা বলেনি, কেউ প্রতিবাদ করেনি। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই যেন আমাদের সঙ্গে নাটক করছে। এই নীরবতাকেও তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন মুজিববাদী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর চোরমারের ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা সংবরণ করেছিলাম। ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, আর ক্ষমা করব না।