Dhaka সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি : ডিএমটিসিএল এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা। ভূমিকম্পের পরে ৪/৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। কোনো কিছু ঘটলে নরমালি আমরা একটা ট্রেন টেস্ট রান চালাই পাবলিক সার্ভিসের আগে। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি। এ ছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে, সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই প্রডিউস, এটা তো নির্ধারণ করতে আমাকে সময়টুকু দেবেন। আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি। একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারব না।

মেট্রোরেলের একটি ট্রেনের ছাদে মানুষ উঠে পড়ার ঘটনায় আরো বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মন্তব্য করে ফারুক আহমেদ বলেন, সে যে বিদ্যুতায়িত হয়নি, এটা সৌভাগ্য। এর থেকে হয়ত আরো বড় কিছু হতে পারত।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল এর এমডি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই ঘটনায় রাতভর পুরো মেট্রো ট্র্যাকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আবার যথানিয়মে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, পাবলিক সেইফটি ইজ ফার্স্ট। এটা আমরা মেনটেইন করবই।

রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত রাতে আমরা একজন বাচ্চাকে পেয়েছি। আরো দুজন প্রায় উপরে উঠে গিয়েছিল। আমরা ভিডিওতে দেখেছি ছেলেটি কারওয়ান বাজারের কোনো এক জায়গা থেকে উঠেছে। সেখান থেকে আগারগাঁও আসে। সেখানে এসে ট্রেন চেঞ্জ করে। সে দুইটা ট্রেনের সংযোগস্থল দিয়ে উঠে যায়। তারপর সচিবালয় স্টেশনে যাওয়ার পরে সে ছাদের উপর ওঠে। সাথে সাথে সিকিউরিটি বিষয়টা জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন অপারেশন বন্ধ করা হয়। আরো কয়েকজন আছে কীভাবে আছে সেটা আমরা জানি না কিছু। আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পুরো লাইনে তাদেরকে সার্চ করি। আমরা দেখার চেষ্টা করেছি কোথাও কেউ নামছে কিনা। আমরা সারারাত ফিজিক্যালি সার্চ করেছি। সকালে সুইপ ট্রেন দিয়েও দেখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, সব পাবলিক দরজা দিয়েই ট্রেনে ঢুকবে। কিন্তু কোনো একজন ১৬টা দরজার কোনো এক ফাঁক দিয়ে ঢুকেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল সেটা আমরা এখনো জানিনা। এটা পুলিশ দেখবে। একজনের পিছনে একজনকে তো সিকিউরিটি হিসেবে দেওয়া সম্ভব না। আমরা সিসিটিভি দিয়েছি সিকিউরিটি সলিউশনের জন্য। আমরা এখন থেকে আরও ভিজিলেন্ট হওয়ার জন্য ইম্প্রুভ করব। আমরা এখন স্টেশনগুলোর নিচেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি। তাতে অন্তত উৎস কোথা থেকে সেটা আমরা বুঝতে পারব।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য আপনারা আমাকে হেল্প করেন। মানুষের মূল্যবোধ একদিনে হবে না। এখানে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তো সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। কিন্তু আমি আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছাতে পারি। মিডিয়া পজিটিভ না হলে সিভিক সেন্স বাড়ানো সম্ভব না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শুধু বিএনপির নয় বেগম জিয়া সারা জাতির অভিভাবক : রিজভী

ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি : ডিএমটিসিএল এমডি

প্রকাশের সময় : ০২:২১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা। ভূমিকম্পের পরে ৪/৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। কোনো কিছু ঘটলে নরমালি আমরা একটা ট্রেন টেস্ট রান চালাই পাবলিক সার্ভিসের আগে। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি। এ ছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে, সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই প্রডিউস, এটা তো নির্ধারণ করতে আমাকে সময়টুকু দেবেন। আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি। একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারব না।

মেট্রোরেলের একটি ট্রেনের ছাদে মানুষ উঠে পড়ার ঘটনায় আরো বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মন্তব্য করে ফারুক আহমেদ বলেন, সে যে বিদ্যুতায়িত হয়নি, এটা সৌভাগ্য। এর থেকে হয়ত আরো বড় কিছু হতে পারত।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল এর এমডি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই ঘটনায় রাতভর পুরো মেট্রো ট্র্যাকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আবার যথানিয়মে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, পাবলিক সেইফটি ইজ ফার্স্ট। এটা আমরা মেনটেইন করবই।

রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত রাতে আমরা একজন বাচ্চাকে পেয়েছি। আরো দুজন প্রায় উপরে উঠে গিয়েছিল। আমরা ভিডিওতে দেখেছি ছেলেটি কারওয়ান বাজারের কোনো এক জায়গা থেকে উঠেছে। সেখান থেকে আগারগাঁও আসে। সেখানে এসে ট্রেন চেঞ্জ করে। সে দুইটা ট্রেনের সংযোগস্থল দিয়ে উঠে যায়। তারপর সচিবালয় স্টেশনে যাওয়ার পরে সে ছাদের উপর ওঠে। সাথে সাথে সিকিউরিটি বিষয়টা জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন অপারেশন বন্ধ করা হয়। আরো কয়েকজন আছে কীভাবে আছে সেটা আমরা জানি না কিছু। আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পুরো লাইনে তাদেরকে সার্চ করি। আমরা দেখার চেষ্টা করেছি কোথাও কেউ নামছে কিনা। আমরা সারারাত ফিজিক্যালি সার্চ করেছি। সকালে সুইপ ট্রেন দিয়েও দেখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, সব পাবলিক দরজা দিয়েই ট্রেনে ঢুকবে। কিন্তু কোনো একজন ১৬টা দরজার কোনো এক ফাঁক দিয়ে ঢুকেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল সেটা আমরা এখনো জানিনা। এটা পুলিশ দেখবে। একজনের পিছনে একজনকে তো সিকিউরিটি হিসেবে দেওয়া সম্ভব না। আমরা সিসিটিভি দিয়েছি সিকিউরিটি সলিউশনের জন্য। আমরা এখন থেকে আরও ভিজিলেন্ট হওয়ার জন্য ইম্প্রুভ করব। আমরা এখন স্টেশনগুলোর নিচেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি। তাতে অন্তত উৎস কোথা থেকে সেটা আমরা বুঝতে পারব।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য আপনারা আমাকে হেল্প করেন। মানুষের মূল্যবোধ একদিনে হবে না। এখানে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তো সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। কিন্তু আমি আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছাতে পারি। মিডিয়া পজিটিভ না হলে সিভিক সেন্স বাড়ানো সম্ভব না।