নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবশেষে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বেশিরভাগ সবজিরই দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। একইসাথে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম তবে। এখনো চড়া মাছের বাজার।
বিক্রেতারা বলছেন, অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে থাকেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। এতে মৌসুমের শুরু থেকেই আসতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের সবজি। এতে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই শীতকালের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে। এখনো প্রতি কেজি সিম বিক্রি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। কিছুদিন আগেও ২০০ টাকা কেজিতে শিম বিক্রি হয়েছে। বাজারে এখন প্রায়ই দেখা মিলছে মাঝারি বা ছোট আকারের ফুলকুপি। ছোট সাইজের প্রতিটি ফুলকপি কিছুদিন আগেও ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। ছোট সাইজের পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
বাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচের ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা ও পটল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া করলা ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতিকেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৭৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৬০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পাইজাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























