স্পোর্টস ডেস্ক :
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের হাইভোল্টেজ ম্যাচে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। এদিন শুরুতেই পড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় ফরাসি জায়ান্টরা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে এই জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার রামোস।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পিএসজির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। প্রথমে তোরেস বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেয়ার পর প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে পিএসজি। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে ফরাসি ক্লাবটিকে জয় এনে দেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার রামোস।
শুরুতে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন ফেররান তরেস। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পিএসজিকে সমতায় ফেরান সেনি মায়ুলু। ম্যাচের শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন গন্সালো রামোস।
এই জয়ে তিনে উঠে এলো পিএসজি। আরও পাঁচ দলের মতো নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জিতল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তবে গোল পার্থক্েয তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ও রেয়াল মাদ্রিদ।
এই হারে ১৬ নম্বরে নেমে গেছে বার্সেলোনা। তাদের সমান ৩ পয়েন্ট মোট ১৩টি দলের।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি। কর্নারে হেড লক্ষ্েয রাখতে পারেননি ইল্লা জাবারনি। দুই মিনিট পর এই সেন্টার ব্যাকই বাঁচান দলকে।
লামিনে ইয়ামালের দুর্দান্ত পাসে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে কাটান তরেস। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় জোরে শট নিতে পারেননি এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। গোললাইন থেকে ফেরান জাবারনি।
১৯তম মিনিটে আর ব্যর্থ হননি তরেস। ইয়ামালের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ক্রস করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। চমৎকার স্লাইডে জাল খুঁজে নেন তরেস। ৩০তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির চমৎকার ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ভয়চেখ স্ট্যান্সনি।
আট মিনিট পর আর তিনি পারেননি। নুনো মেন্দেসের চমৎকার পাস পেয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন মায়ুলু।
বিরতির পর প্রথম সেরা সুযোগ পায় পিএসজি। ৫৩তম মিনিটে মেন্দেসের কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন ইব্রাহিম বাইয়ে। অনায়াসে ফেরান বার্সেলোনা গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি। পরের মিনিটে ব্রাডলি বারকোলার শটও একইভাবে ফেরান তিনি।
৬৫তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বার্সেলোনার দুটি শট গোলমুখ থেকে ফিরিয়ে দেন পিএসজির দুই ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে র্যাশফোর্ডের ফ্রি কিক পাঞ্চ করে ফেরান পিএসজি গোলরক্ষক, ফিরতি বলে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইয়ামাল।
৮৩তম মিনিটে একটুর জন্য জালের দেখা পাননি পিএসজির লি ক্যাং-ইন। তার বাঁকানো শট ব্যর্থ হয় দূরের পোস্টে লেগে! তিন মিনিট পর কর্নার থেকে অরক্ষিত মেন্দেস হেড করেন স্ট্যান্সনি বরাবর। নষ্ট হয় পিএসজির আরেকটি ভালো সুযোগ।
একের পর এক আক্রমণে বার্সেলোনাকে চেপে ধরা পিএসজি এগিয়ে যায় ৯০তম মিনিটে। হাকিমির ক্রস ঠাণ্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নেন রামোস।
দিনের আরেক ম্যাচে, অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। প্রথমার্ধে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন বুকায়ো সাকা।
এই জয়ে ৩৬ দল নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকায় তিনে উঠে এসেছে পিএসজি। তাদের মতো আরও পাঁচটি দল নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। গোল পার্থকে তাদের (+৫) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ (+৬) ও বায়ার্ন মিউনিখ (+৬)।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলমান ২০২৫-২৬ মৌসুমে বার্সেলোনার এটি প্রথম হার। এতে ১৬ নম্বরে নেমে গেছে তারা। তাদের পাশাপাশি আরও ১২টি দলের নামের পাশে অর্জন ৩ পয়েন্ট।