Dhaka শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌসুম শেষেই অবসরে যাবেন সার্জিও বুসকেতস

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রতিপক্ষের আক্রমণ ধ্বংস করা। নিজেদের আক্রমণ গড়ে তোলা। মাঠময় বিচরণ। ডিফেন্সচেরা পাস। বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের ঝলক। চোখধাঁধানো কিছু না করেও সবচেয়ে উজ্জ্বল। বছরের পর বছর ধরে সবকিছুই করে যাচ্ছেন সের্হিও বুসকেতস। এই পথচলায় হয়ে উঠেছেন সবসময়ের সেরাদের একজন। অবশেষে সেই ছুটে চলা থামাচ্ছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানছেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন।

মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুম শেষেই ফুটবল মাঠকে বিদায় বলবেন বুসকেতস। বিশ্বকাপজয়ী স্প্যানিশ কিংবদন্তির খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হচ্ছে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তি শেষেই।

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বৃহস্পতিবার অবসরের সিদ্ধান্ত জানান ৩৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। বিদায়বেলায় পূর্ণতায় ডুবে থাকার তৃপ্তি তার কণ্ঠে।

“আমার মনে হয়েছে, পেশাদার ক্যারিয়ারকে বিদায় বলার সময় আমার চলে এসেছে। যেটির স্বপ্ন সবসময় দেখেছিলাম, সেই অবিশ্বাস্য গল্প উপভোগের প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল। দুর্দান্ত সব জায়গায় অনন্য সব অভিজ্ঞতা আমাকে উপহার দিয়েছে ফুটবল, পথচলায় পেয়েছি অসাধারণ সব সঙ্গী। খুবই খুশিমনে, গর্ব নিয়ে, পূর্ণ হয়ে এবং সবকিছুর ওপর, কৃতজ্ঞতা নিয়ে অবসরে যাচ্ছি আমি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, দেখা হবে শিগগিরই।”

তার মূল পরিচয় বার্সেলোনার বুসকেতস হিসেবেই। বিভিন্ন একাডেমি হয়ে ২০০৫ সালে কাতালান ক্লাবটির যুব দলে তার বিচরণ শুরু। পরের ১৮ বছর তিনি ছিলেন এই ক্লাবের প্রায় সমার্থক।

বার্সেলোনর জার্সিতে সাতশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাবের স্বর্ণসময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল সেনানীদের একজন তিনি। জিতেছেন ৯টি লা লিগা, ৭টি করে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৩টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ।

স্পেনের হয়ে খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ। দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সময়ের স্বাক্ষীদের একজনও তিনি। ২০০৮ ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো, টানা তিন বড় শিরোপায় তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান।

বিদায়বেলায় বার্সেলোনা ও স্পেনের প্রতি তার অনুরাগ ফুটে উঠল প্রবলভাবেই।

“বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবকে ধন্যবাদ, দা ক্লাব অব মাই লাইফ! যেখানে ছেলেবেলার স্বপ্ন পূরণ করে প্রিয় জার্সি গায়ে শতশত ম্যাচ খেলেছি। কাম্প নউয়ে উদযাপন করেছি অনেক গল্প, উপভোগ করেছি অনন্য অনেক কিছু, যা কখনও ভুলব না। স্পেন জাতীয় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এতবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ছিল সম্মানের এবং অর্জনগুলো সবসময়ই আমার হৃদয়ে জায়গা নিয়ে থাকবে।”

কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামির প্রতিও। ২০২৩ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবে যোগ দেন তিনি। যেখানে আবার সতীর্থ হিসেবে পান পুরোনো সঙ্গী লিওনেল মেসি।

এই ক্লাবেও তিনি জিতেছেন লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ড। মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুমে প্লেঅফ নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। এখানেই তিনি খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ কিছু ম্যাচ, ক্যারিয়ারের শেষ শিরোপার জন্য!

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মানবাধিকার কমিশনে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ দরকার নেই : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

মৌসুম শেষেই অবসরে যাবেন সার্জিও বুসকেতস

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রতিপক্ষের আক্রমণ ধ্বংস করা। নিজেদের আক্রমণ গড়ে তোলা। মাঠময় বিচরণ। ডিফেন্সচেরা পাস। বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের ঝলক। চোখধাঁধানো কিছু না করেও সবচেয়ে উজ্জ্বল। বছরের পর বছর ধরে সবকিছুই করে যাচ্ছেন সের্হিও বুসকেতস। এই পথচলায় হয়ে উঠেছেন সবসময়ের সেরাদের একজন। অবশেষে সেই ছুটে চলা থামাচ্ছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানছেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন।

মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুম শেষেই ফুটবল মাঠকে বিদায় বলবেন বুসকেতস। বিশ্বকাপজয়ী স্প্যানিশ কিংবদন্তির খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হচ্ছে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তি শেষেই।

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বৃহস্পতিবার অবসরের সিদ্ধান্ত জানান ৩৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। বিদায়বেলায় পূর্ণতায় ডুবে থাকার তৃপ্তি তার কণ্ঠে।

“আমার মনে হয়েছে, পেশাদার ক্যারিয়ারকে বিদায় বলার সময় আমার চলে এসেছে। যেটির স্বপ্ন সবসময় দেখেছিলাম, সেই অবিশ্বাস্য গল্প উপভোগের প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল। দুর্দান্ত সব জায়গায় অনন্য সব অভিজ্ঞতা আমাকে উপহার দিয়েছে ফুটবল, পথচলায় পেয়েছি অসাধারণ সব সঙ্গী। খুবই খুশিমনে, গর্ব নিয়ে, পূর্ণ হয়ে এবং সবকিছুর ওপর, কৃতজ্ঞতা নিয়ে অবসরে যাচ্ছি আমি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, দেখা হবে শিগগিরই।”

তার মূল পরিচয় বার্সেলোনার বুসকেতস হিসেবেই। বিভিন্ন একাডেমি হয়ে ২০০৫ সালে কাতালান ক্লাবটির যুব দলে তার বিচরণ শুরু। পরের ১৮ বছর তিনি ছিলেন এই ক্লাবের প্রায় সমার্থক।

বার্সেলোনর জার্সিতে সাতশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাবের স্বর্ণসময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল সেনানীদের একজন তিনি। জিতেছেন ৯টি লা লিগা, ৭টি করে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৩টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ।

স্পেনের হয়ে খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ। দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সময়ের স্বাক্ষীদের একজনও তিনি। ২০০৮ ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো, টানা তিন বড় শিরোপায় তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান।

বিদায়বেলায় বার্সেলোনা ও স্পেনের প্রতি তার অনুরাগ ফুটে উঠল প্রবলভাবেই।

“বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবকে ধন্যবাদ, দা ক্লাব অব মাই লাইফ! যেখানে ছেলেবেলার স্বপ্ন পূরণ করে প্রিয় জার্সি গায়ে শতশত ম্যাচ খেলেছি। কাম্প নউয়ে উদযাপন করেছি অনেক গল্প, উপভোগ করেছি অনন্য অনেক কিছু, যা কখনও ভুলব না। স্পেন জাতীয় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এতবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ছিল সম্মানের এবং অর্জনগুলো সবসময়ই আমার হৃদয়ে জায়গা নিয়ে থাকবে।”

কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামির প্রতিও। ২০২৩ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবে যোগ দেন তিনি। যেখানে আবার সতীর্থ হিসেবে পান পুরোনো সঙ্গী লিওনেল মেসি।

এই ক্লাবেও তিনি জিতেছেন লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ড। মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুমে প্লেঅফ নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। এখানেই তিনি খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ কিছু ম্যাচ, ক্যারিয়ারের শেষ শিরোপার জন্য!