Dhaka শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরের ৩ জেলা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকরা। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ইস্যুতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন বাসমালিক পক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বাসস্ট্যান্ডে এসে অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে বিকল্প উপায়ে যাত্রা করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম হেলাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এতদিন রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রতি ট্রিপে একজন চালক ১ হাজার ২৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী ৪০০ টাকা পেতেন। সম্প্রতি শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি তুললে কয়েক দফায় বাস চলাচল বন্ধ হয়। এ পরিস্থিতি নিরসনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষ বৈঠক করে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, চালকরা ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজাররা ৭৫০ টাকা এবং সহকারীরা ৭০০ টাকা করে পাবেন। আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন বেতন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মালিকপক্ষ বেশি বেতন দিতে রাজি নয় জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাস বন্ধের ঘোষণা দেন।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর বাড়তি বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাস্তবায়নের আগে বাস বন্ধ করা ন্যাক্কারজনক। এতে যাত্রীরা যে ভোগান্তিতে পড়েছে তা বর্ণনার বাইরে।

এদিকে পূজার ছুটির আগে হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকই ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন বিকল্প পথে।

বাসে ওঠার জন্য রাজশাহী টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমন হোসেন।

তিনি বলেন, পূজার আগে দুদিনের ছুটিতে এমনিতেই ট্রেন-বাসে প্রচণ্ড ভিড়। এর মধ্যে হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। আগে জানলে অন্তত বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

আরেক যাত্রী পোশাককর্মী শিউলি আক্তার বলেন, শুক্রবার সকালে ঢাকায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু রাতে কাউন্টারে গিয়ে শুনলাম বাস চলবে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাব, তা বুঝতে পারছি না।

আরেক যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, শ্রমিক-মালিকদের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত বাস চালাচল স্বাভাবিক করা উচিৎ।

এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে তারা কথা বলতে রাজি হননি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়ে টিআইবির দাবি ভুল : প্রেস সচিব

উত্তরের ৩ জেলা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকরা। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ইস্যুতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন বাসমালিক পক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বাসস্ট্যান্ডে এসে অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে বিকল্প উপায়ে যাত্রা করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম হেলাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এতদিন রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রতি ট্রিপে একজন চালক ১ হাজার ২৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী ৪০০ টাকা পেতেন। সম্প্রতি শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি তুললে কয়েক দফায় বাস চলাচল বন্ধ হয়। এ পরিস্থিতি নিরসনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষ বৈঠক করে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, চালকরা ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজাররা ৭৫০ টাকা এবং সহকারীরা ৭০০ টাকা করে পাবেন। আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন বেতন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মালিকপক্ষ বেশি বেতন দিতে রাজি নয় জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাস বন্ধের ঘোষণা দেন।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর বাড়তি বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাস্তবায়নের আগে বাস বন্ধ করা ন্যাক্কারজনক। এতে যাত্রীরা যে ভোগান্তিতে পড়েছে তা বর্ণনার বাইরে।

এদিকে পূজার ছুটির আগে হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকই ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন বিকল্প পথে।

বাসে ওঠার জন্য রাজশাহী টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমন হোসেন।

তিনি বলেন, পূজার আগে দুদিনের ছুটিতে এমনিতেই ট্রেন-বাসে প্রচণ্ড ভিড়। এর মধ্যে হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। আগে জানলে অন্তত বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

আরেক যাত্রী পোশাককর্মী শিউলি আক্তার বলেন, শুক্রবার সকালে ঢাকায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু রাতে কাউন্টারে গিয়ে শুনলাম বাস চলবে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাব, তা বুঝতে পারছি না।

আরেক যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, শ্রমিক-মালিকদের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত বাস চালাচল স্বাভাবিক করা উচিৎ।

এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে তারা কথা বলতে রাজি হননি।