বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর তারা নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও মোবাইল লুট করে নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শিবগঞ্জউপজেলার সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৩৫) ও তার ছেলে ইমরান নাজির (১৮)। ইমরান বগুড়ার ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সকালে জানালা দিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্বজনরা পুলিশে খবর দেন। পরে পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। বারান্দায় রানী বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ ও আরেক কক্ষে ছিল ইমরানের মরদেহ পড়েছিল। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্বজনরা জানান, ঘর থেকে একটি মোটরসাইকেল, নগদ অর্থ ও প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সবগুলো দিক সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।