Dhaka সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইয়েকানোর মাঠে হোঁচট খেল বার্সেলোনা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও জয়ের ধারায় থাকতে পারল না বার্সেলোনা। লড়াকু ফুটবলে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের কাঁপিয়ে দিল রায়ো ভাইয়েকানো। তবে পোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে দারুণ লড়াই করলেন গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া। তার দৃঢ়তায় হার এড়াল হান্সি ফ্লিকের দল।

লা লিগায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভাইয়েকানোর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।

প্রথমার্ধে লামিনে ইয়ামালের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান পেরেসের গোলে সমতা ফেরায় ভাইয়েকানো।

৫৬ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্েয। অন্য দিকে দ্বিতীয়ার্ধে সফরকারীদের প্রবল চাপে রাখা ভাইয়েকানো গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে সাতটি রাখে লক্ষ্েয।

পোস্টের নিচে ব্যস্ত সময় কাটানো বার্সেলোনা গোলরক্ষক গার্সিয়া ছয়টি চমৎকার সেভে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধে ভাইয়েকানো বল হারালে পেয়ে যান রাফিনিয়া। ডি বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শট লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনি। পেনাল্টি স্পটের কাছে তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিলেন ফেররান তরেস!

ছয় মিনিট পর গোল করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগিতকরা। গোলরক্ষকের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে নিখুঁত ক্রস করেন আলভারো গার্সিয়া। কিন্তু খুব কাছ থেকেও গার্সিয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি আন্দ্রেই রাতিয়ু। তার শট চমৎকার রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।

২৬তম মিনিটে দানি ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আগুস্তো বাতাইয়া। তিন মিনিট পর একটুর জন্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তরেস; বাইলাইন থেকে রাফিনিয়ার কাটব্যাক স্লাইড করে অল্পের জন্য নাগালে পাননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

৪০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। তাকেই ভাইয়েকানো ডিফেন্ডার পেপ চাভারিয়া ফাউল করায় পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। চলতি আসরে এটি বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন ওলমো। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে অরক্ষিত এই মিডফিল্ডার শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তার এই ব্যর্থতায় মাঠের বাইরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান কোচ ফ্লিক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার সুযোগ পান ওলমো। ডি বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্েয রাখতে পারেননি তিনি।

বার্সেলোনাকে বেশ চাপে রাখা ভাইয়েকানো সমতা ফেরায় ৬৭তম মিনিটে। ইসি পালাসনের কর্নারে দূরের পোস্টে অরক্ষিত পেরেসের শট পোস্টে লেগে জড়ায় জালে। ভালেন্সিয়া থেকে আসা তরুণ ফরোয়ার্ডের নতুন ক্লাবে এটাই প্রথম গোল।

ছয় মিনিট পর ভাইয়েকানোকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হোর্হে দে ফ্রুটোস। গার্সিয়াকে একা পেয়েও জালের দেখা পাননি তিনি। চমৎকার রিফ্লেক্সে ঝাঁপিয়ে বার্সেলোনাকে সমতায় রাখেন গোলরক্ষক।

৮৬তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও গোল পায়নি ভাইয়েকানো। অফসাইড ছিলেন সের্হিও কামেয়ো। চার মিনিট পর ডাবল সেভে স্বাগতিকদের হতাশ করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। পেরেসের শট কোনোমতে ফেরানোর পর কামেয়োর দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।

অন্তিম সময়ে সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়ামাল। পেনাল্টি স্পটের কাছে অপেক্ষায় থাকা রবের্ত লেভানদোভস্কিকে কাটব্যাক না করে গোলের জন্য শট নিয়ে সফল হননি তিনি। ম্যাচ শেষ হয় সেখানেই।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য এই ম্যাচে মনিটরে রিপ্লে দেখার সুযোগ ছিল না রেফারির। তাই তেমন প্রয়োজনের সময় ভিএআর রেফারির সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। ৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। টানা তিন জয়ে প্রথম দুটি স্থানে আছে রেয়াল মাদ্রিদ ও আথলেতিক বিলবাও।

আবহাওয়া

সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন, ইসি দায় নেবে না : সিইসি

ভাইয়েকানোর মাঠে হোঁচট খেল বার্সেলোনা

প্রকাশের সময় : ১২:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও জয়ের ধারায় থাকতে পারল না বার্সেলোনা। লড়াকু ফুটবলে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের কাঁপিয়ে দিল রায়ো ভাইয়েকানো। তবে পোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে দারুণ লড়াই করলেন গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া। তার দৃঢ়তায় হার এড়াল হান্সি ফ্লিকের দল।

লা লিগায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভাইয়েকানোর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।

প্রথমার্ধে লামিনে ইয়ামালের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান পেরেসের গোলে সমতা ফেরায় ভাইয়েকানো।

৫৬ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্েয। অন্য দিকে দ্বিতীয়ার্ধে সফরকারীদের প্রবল চাপে রাখা ভাইয়েকানো গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে সাতটি রাখে লক্ষ্েয।

পোস্টের নিচে ব্যস্ত সময় কাটানো বার্সেলোনা গোলরক্ষক গার্সিয়া ছয়টি চমৎকার সেভে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধে ভাইয়েকানো বল হারালে পেয়ে যান রাফিনিয়া। ডি বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শট লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনি। পেনাল্টি স্পটের কাছে তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিলেন ফেররান তরেস!

ছয় মিনিট পর গোল করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগিতকরা। গোলরক্ষকের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে নিখুঁত ক্রস করেন আলভারো গার্সিয়া। কিন্তু খুব কাছ থেকেও গার্সিয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি আন্দ্রেই রাতিয়ু। তার শট চমৎকার রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।

২৬তম মিনিটে দানি ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আগুস্তো বাতাইয়া। তিন মিনিট পর একটুর জন্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তরেস; বাইলাইন থেকে রাফিনিয়ার কাটব্যাক স্লাইড করে অল্পের জন্য নাগালে পাননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

৪০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। তাকেই ভাইয়েকানো ডিফেন্ডার পেপ চাভারিয়া ফাউল করায় পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। চলতি আসরে এটি বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন ওলমো। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে অরক্ষিত এই মিডফিল্ডার শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তার এই ব্যর্থতায় মাঠের বাইরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান কোচ ফ্লিক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার সুযোগ পান ওলমো। ডি বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্েয রাখতে পারেননি তিনি।

বার্সেলোনাকে বেশ চাপে রাখা ভাইয়েকানো সমতা ফেরায় ৬৭তম মিনিটে। ইসি পালাসনের কর্নারে দূরের পোস্টে অরক্ষিত পেরেসের শট পোস্টে লেগে জড়ায় জালে। ভালেন্সিয়া থেকে আসা তরুণ ফরোয়ার্ডের নতুন ক্লাবে এটাই প্রথম গোল।

ছয় মিনিট পর ভাইয়েকানোকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হোর্হে দে ফ্রুটোস। গার্সিয়াকে একা পেয়েও জালের দেখা পাননি তিনি। চমৎকার রিফ্লেক্সে ঝাঁপিয়ে বার্সেলোনাকে সমতায় রাখেন গোলরক্ষক।

৮৬তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও গোল পায়নি ভাইয়েকানো। অফসাইড ছিলেন সের্হিও কামেয়ো। চার মিনিট পর ডাবল সেভে স্বাগতিকদের হতাশ করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। পেরেসের শট কোনোমতে ফেরানোর পর কামেয়োর দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।

অন্তিম সময়ে সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়ামাল। পেনাল্টি স্পটের কাছে অপেক্ষায় থাকা রবের্ত লেভানদোভস্কিকে কাটব্যাক না করে গোলের জন্য শট নিয়ে সফল হননি তিনি। ম্যাচ শেষ হয় সেখানেই।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য এই ম্যাচে মনিটরে রিপ্লে দেখার সুযোগ ছিল না রেফারির। তাই তেমন প্রয়োজনের সময় ভিএআর রেফারির সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। ৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। টানা তিন জয়ে প্রথম দুটি স্থানে আছে রেয়াল মাদ্রিদ ও আথলেতিক বিলবাও।