Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বায়ু দূষণ রোধে সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি ৫ অনুযায়ী সরকার ঢাকা জেলার অন্তর্গত সমগ্র সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ ঘোষণা জারি করা হয়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে সাভারে টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ব্যতীত অন্য সব ধরনের ইটভাটায় ইট পোড়ানো ও প্রস্তুত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, নতুনভাবে বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পকারখানা স্থাপন, অনুকূলে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান এবং কর্মপরিকল্পনায় উল্লিখিত অন্যান্য কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সাভারের পরিবেষ্টিত বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় নির্ধারিত মানের প্রায় তিন গুণ বেশি। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পাঁচ মাস ধরে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বাতাস সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

সরকার আশা করছে, এ পদক্ষেপ সাভার ও ঢাকায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আনবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বায়ু দূষণ রোধে সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি ৫ অনুযায়ী সরকার ঢাকা জেলার অন্তর্গত সমগ্র সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ ঘোষণা জারি করা হয়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে সাভারে টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ব্যতীত অন্য সব ধরনের ইটভাটায় ইট পোড়ানো ও প্রস্তুত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, নতুনভাবে বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পকারখানা স্থাপন, অনুকূলে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান এবং কর্মপরিকল্পনায় উল্লিখিত অন্যান্য কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সাভারের পরিবেষ্টিত বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় নির্ধারিত মানের প্রায় তিন গুণ বেশি। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পাঁচ মাস ধরে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বাতাস সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

সরকার আশা করছে, এ পদক্ষেপ সাভার ও ঢাকায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আনবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।