Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ২১৯ জন দেখেছেন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালীর মহিপুরে কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে মুসুল্লিয়াবাদ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক বর্ষা এলেই দুর্ভোগের অপর নাম হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটি হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ, যা চলাচলকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

এই সড়কটি মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুসুল্লিয়াবাদ একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। শুষ্ক মৌসুমে যেখানে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করে, সেখানে বর্ষাকালে ওই রাস্তা পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ বছর হলেও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা হয়নি। বারবার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বাস্তবায়ন হয়নি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।

গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী বা শিশু-বৃদ্ধদের জন্য এই সড়ক যেন দুর্ভোগের ফাঁদ। আবার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল মহিপুর-আলিপুর বাজারে পৌঁছাতে হলে এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। সড়কটির কারণে তাদের ফসল পরিবহনে যেমন দেরি হয়, তেমনি বাড়ে খরচও।

এই সড়কটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, কুয়াকাটার পর্যটকদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি দিয়ে রাখাইন তাঁতপল্লী, রাখাইন জাদুঘর এবং গঙ্গামতি সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। ফলে পর্যটনশিল্পেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লী সুলতান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা সড়কটি একইভাবে পড়ে আছে। জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবেই এটি এখনো পাকা হয়নি। আমরা বারবার বলেও কোনো সুফল পাইনি। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত এ সড়কটি পাকা করা দরকার।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর রহমান বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো কাঁচা রয়েছে, যেগুলো পাকা করা জরুরি। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে আমরা সেই কাজ করতে পারছি না। তবে নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, কুয়াকাটার উন্নয়ন ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে এই সড়কটি দ্রুত পাকা করা এখন সময়ের দাবি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালীর মহিপুরে কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে মুসুল্লিয়াবাদ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক বর্ষা এলেই দুর্ভোগের অপর নাম হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটি হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ, যা চলাচলকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

এই সড়কটি মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুসুল্লিয়াবাদ একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। শুষ্ক মৌসুমে যেখানে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করে, সেখানে বর্ষাকালে ওই রাস্তা পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ বছর হলেও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা হয়নি। বারবার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বাস্তবায়ন হয়নি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।

গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী বা শিশু-বৃদ্ধদের জন্য এই সড়ক যেন দুর্ভোগের ফাঁদ। আবার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল মহিপুর-আলিপুর বাজারে পৌঁছাতে হলে এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। সড়কটির কারণে তাদের ফসল পরিবহনে যেমন দেরি হয়, তেমনি বাড়ে খরচও।

এই সড়কটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, কুয়াকাটার পর্যটকদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি দিয়ে রাখাইন তাঁতপল্লী, রাখাইন জাদুঘর এবং গঙ্গামতি সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। ফলে পর্যটনশিল্পেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লী সুলতান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা সড়কটি একইভাবে পড়ে আছে। জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবেই এটি এখনো পাকা হয়নি। আমরা বারবার বলেও কোনো সুফল পাইনি। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত এ সড়কটি পাকা করা দরকার।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর রহমান বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো কাঁচা রয়েছে, যেগুলো পাকা করা জরুরি। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে আমরা সেই কাজ করতে পারছি না। তবে নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, কুয়াকাটার উন্নয়ন ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে এই সড়কটি দ্রুত পাকা করা এখন সময়ের দাবি।