Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেসি গোলের পরেও মায়ামির বড় ব্যবধানে হার

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের ক্ষত মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) টেবিল টপার হয়ে ঘোচানোর সুযোগ ছিল ইন্টার মায়ামির সামনে। যদিও আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় আরও অবনতির পথে লিওনেল মেসি ও হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল।

আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোল সত্ত্বেও ফ্লোরিডার ক্লাবটি মিনেসোটা ইউনাইটেডের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রতিপক্ষের দুর্গ অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে ম্যাচটিতে বেশ দাপটই ছিল ইন্টার মায়ামির। বল দখলে দুই দলের ব্যবধান ছিল ব্যাপক। লুইস সুয়ারেজহীন মায়ামি ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ফিনিশিংয়ে ভুগেছে। দুই অর্ধেই দুটি গোল হজম করেছে সফরকারীরা। মেসির এক গোল কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। স্বাগতিক মিনেসোটা মায়ামিকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর গত বছর দুয়েকে এত বড় ব্যবধানে মায়ামি হারেনি।

বাংলাদেশ সময় রোববার (১১ মে) ভোরে শেষ হওয়া ম্যাচে বল দখলে মায়ামি একচেটিয়া আধিপত্য করে। ৭৩ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে কেবল তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, তিনটিই ছিল মেসির, তার দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। মিনেসোটার ৮ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।

ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। আক্রমণভাগেও তার অভাব টের পেয়েছে মায়ামি, বেশিরভাগ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখলেও খেলা ছিল ছন্দহীন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৪৮) মেসি গোল করে ব্যবধান কমানোর আগেই দুটি হজম করে বসে মায়ামি। মিনেসোটার হয়ে ৩২ মিনিটে প্রথম লিড এনে দেন বঙ্গকুহলে লঙওয়ানে। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যান্থনি মার্কানিচ।

বিরতির পর ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনলেও আরও পিছিয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। মিনেসোটার আক্রমণের মুখে ৬৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়েছেন মার্সেলো উইগান্ডট। আর সেখানেই কামব্যাক করার মতো মানসিকতায় ধাক্কা খান মেসি-আলবাদের মায়ামি।

মিনিট দুয়েক বাদেই তাদের হারের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠোকেন রবিন লোড। তার আঘাতে মিনেসোটার বড় জয় এবং মায়ামির উঠে দাঁড়ানোর শক্তি শেষ করে দেয়।

কোচ মাশ্চেরানো বিরতির পর মায়ামির চারটি বদল আনেন। কিন্তু তাতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। এটি মায়ামির জন্য বেশ উদ্বেগজনক ফল। সাম্প্রতিক সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাশ্চেরানোর দলটি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে মেসির আগমনের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাও পেলো লা গারজাসরা।

এই হারে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেল মায়ামি। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে এফসি সিনসিনাতি (২৫), কলম্বাস ক্রু (২৫) ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (২৩)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

মেসি গোলের পরেও মায়ামির বড় ব্যবধানে হার

প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের ক্ষত মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) টেবিল টপার হয়ে ঘোচানোর সুযোগ ছিল ইন্টার মায়ামির সামনে। যদিও আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় আরও অবনতির পথে লিওনেল মেসি ও হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল।

আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোল সত্ত্বেও ফ্লোরিডার ক্লাবটি মিনেসোটা ইউনাইটেডের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রতিপক্ষের দুর্গ অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে ম্যাচটিতে বেশ দাপটই ছিল ইন্টার মায়ামির। বল দখলে দুই দলের ব্যবধান ছিল ব্যাপক। লুইস সুয়ারেজহীন মায়ামি ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ফিনিশিংয়ে ভুগেছে। দুই অর্ধেই দুটি গোল হজম করেছে সফরকারীরা। মেসির এক গোল কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। স্বাগতিক মিনেসোটা মায়ামিকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর গত বছর দুয়েকে এত বড় ব্যবধানে মায়ামি হারেনি।

বাংলাদেশ সময় রোববার (১১ মে) ভোরে শেষ হওয়া ম্যাচে বল দখলে মায়ামি একচেটিয়া আধিপত্য করে। ৭৩ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে কেবল তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, তিনটিই ছিল মেসির, তার দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। মিনেসোটার ৮ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।

ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। আক্রমণভাগেও তার অভাব টের পেয়েছে মায়ামি, বেশিরভাগ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখলেও খেলা ছিল ছন্দহীন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৪৮) মেসি গোল করে ব্যবধান কমানোর আগেই দুটি হজম করে বসে মায়ামি। মিনেসোটার হয়ে ৩২ মিনিটে প্রথম লিড এনে দেন বঙ্গকুহলে লঙওয়ানে। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যান্থনি মার্কানিচ।

বিরতির পর ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনলেও আরও পিছিয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। মিনেসোটার আক্রমণের মুখে ৬৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়েছেন মার্সেলো উইগান্ডট। আর সেখানেই কামব্যাক করার মতো মানসিকতায় ধাক্কা খান মেসি-আলবাদের মায়ামি।

মিনিট দুয়েক বাদেই তাদের হারের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠোকেন রবিন লোড। তার আঘাতে মিনেসোটার বড় জয় এবং মায়ামির উঠে দাঁড়ানোর শক্তি শেষ করে দেয়।

কোচ মাশ্চেরানো বিরতির পর মায়ামির চারটি বদল আনেন। কিন্তু তাতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। এটি মায়ামির জন্য বেশ উদ্বেগজনক ফল। সাম্প্রতিক সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাশ্চেরানোর দলটি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে মেসির আগমনের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাও পেলো লা গারজাসরা।

এই হারে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেল মায়ামি। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে এফসি সিনসিনাতি (২৫), কলম্বাস ক্রু (২৫) ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (২৩)।