Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আন্তর্জাতিক আদালতে আ.লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে না’

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরের ফ্যাশন স্কয়ারে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এদের জায়গা দেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট, গণবিরোধী ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী দল। এই দলের বিচার হবে আন্তর্জাতিক আদালতে। আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠনের যে প্রস্তাব আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা সেটা সফল করে ছাড়বে। ছাত্র-জনতা বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের মানুষের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, দারিদ্র্যতা ও অসহায়ত্ব আছে সেটি সংবিধান থেকে শুরু হয়। সংবিধান পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশের মানুষের স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সামান্তা শারমিন বলেন, কিছু পক্ষ সংবিধানসহ সকল ব্যবস্থা আগের মতো রেখে দিতে চায়। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গত ৩ আগস্ট ১ দফা ঘোষণার সাথে সাথে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিয়েছে এ সংবিধানকে পুনর্লিখন করতে হবে। এ সংবিধান একটি জনবিরোধী সংবিধান। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য তরুণ ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে গণপরিষদের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

তিনি বলেন, অনেকেই বলতে চায় গণপরিষদ নির্বাচন কী তারা কেউ বোঝেন না। আমরা বলতে চাই, যখন বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি আসে নাই তখন ১৯৭০ সালে গণপরিষদ নির্বাচন হয়েছিল। এখন এই আধুনিক যুগে কেন মানুষ গণপরিষদ নির্বাচন বুঝবে না? তারা কী আমাদের অপমান করতে চায়? এই অপমানের শোধ আমরা আবার নেব। গণপরিষদের মাধ্যমে আমরা এই সংবিধান পরিবর্তন করব। সেই সাথে পুরো ফ্যাসিস্ট কাঠামোর বিলোপ করব।

গত ১৫ বছর বাংলাদেশে একটি দলই রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সেই আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি পুরো ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু পক্ষ নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। যাদের গত ১৫ বছর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। তাদের দেখছি এলাকায় চাঁদাবাজি করতে। তাদেরকে দেখছি এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করতে। কিন্তু এই ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিতে চায়, লুটপাট আর সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।’

উপস্থিত সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনাদের সাথে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে যেতে চায়। আপনাদের কথা আমরা তুলে আনতে চাই। চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি মহল সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে। আমরা এসবের পরিবর্তন চাই। বাংলাদেশে তরুণ যত ছাত্র-জনতা আছেন তারা পার্লামেন্টে গিয়ে অন্যায়কারীদের শাসন করবে।

পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস.এম.শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

‘আন্তর্জাতিক আদালতে আ.লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে না’

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরের ফ্যাশন স্কয়ারে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এদের জায়গা দেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট, গণবিরোধী ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী দল। এই দলের বিচার হবে আন্তর্জাতিক আদালতে। আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠনের যে প্রস্তাব আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা সেটা সফল করে ছাড়বে। ছাত্র-জনতা বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের মানুষের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, দারিদ্র্যতা ও অসহায়ত্ব আছে সেটি সংবিধান থেকে শুরু হয়। সংবিধান পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশের মানুষের স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সামান্তা শারমিন বলেন, কিছু পক্ষ সংবিধানসহ সকল ব্যবস্থা আগের মতো রেখে দিতে চায়। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গত ৩ আগস্ট ১ দফা ঘোষণার সাথে সাথে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিয়েছে এ সংবিধানকে পুনর্লিখন করতে হবে। এ সংবিধান একটি জনবিরোধী সংবিধান। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য তরুণ ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে গণপরিষদের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

তিনি বলেন, অনেকেই বলতে চায় গণপরিষদ নির্বাচন কী তারা কেউ বোঝেন না। আমরা বলতে চাই, যখন বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি আসে নাই তখন ১৯৭০ সালে গণপরিষদ নির্বাচন হয়েছিল। এখন এই আধুনিক যুগে কেন মানুষ গণপরিষদ নির্বাচন বুঝবে না? তারা কী আমাদের অপমান করতে চায়? এই অপমানের শোধ আমরা আবার নেব। গণপরিষদের মাধ্যমে আমরা এই সংবিধান পরিবর্তন করব। সেই সাথে পুরো ফ্যাসিস্ট কাঠামোর বিলোপ করব।

গত ১৫ বছর বাংলাদেশে একটি দলই রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সেই আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি পুরো ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু পক্ষ নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। যাদের গত ১৫ বছর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। তাদের দেখছি এলাকায় চাঁদাবাজি করতে। তাদেরকে দেখছি এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করতে। কিন্তু এই ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিতে চায়, লুটপাট আর সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।’

উপস্থিত সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনাদের সাথে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে যেতে চায়। আপনাদের কথা আমরা তুলে আনতে চাই। চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি মহল সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে। আমরা এসবের পরিবর্তন চাই। বাংলাদেশে তরুণ যত ছাত্র-জনতা আছেন তারা পার্লামেন্টে গিয়ে অন্যায়কারীদের শাসন করবে।

পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস.এম.শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।