Dhaka শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনায় তেল নষ্ট: ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেলওয়ে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৫৪ জন দেখেছেন

সংগৃহীত পুরাতন ছবি

সারাদেশে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এতে করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তেল নষ্ট হয় আর ক্ষতিপূরণ দিতে হয় রেলওয়েকে। গেল এক বছরে জ্বালানী তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলপথে জ্বালানি পরিবহন সাশ্রয়ী ও ঝুঁকিমুক্ত। সে কারণে ব্রিটিশ আমল থেকেই আগাম ভাড়া মিটিয়ে জ্বালানি পরিবহন করে আসছে তেল কোম্পানিগুলো। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রেলেও বার বার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। যার সবশেষ উদাহরণ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ট্রেনের তেলবাহী ৭টি বগির লাইনচ্যুতি। যেখানে প্রায় কোটি টাকার তেল নষ্ট হয়েছে।

রেলের সঙ্গে জ্বালানি বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর পরিবহন চুক্তি অনুযায়ী, পরিবহনের সময় কোন দুর্ঘটনা হলে ভাড়া ফেরতসহ তেলের দাম দিতে হবে রেলওয়েকে। গত বছরের ৭ নভেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তেলবাহী ৪টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে তেল নষ্ট হয়।

সে সময় মেঘনা অয়েল কোম্পানি রেলের কাছে ৮৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলো। এর একদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের ৫টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয় হবিগঞ্জে। এতে অগ্নিকাণ্ডও হয়। এর বাইরেও প্রতিবছরই তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চুক্তি অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে তেল কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দেয়া হয়। তবে অনেকে বলছেন এতে ভাড়ার চেয়ে ক্ষতিপূরণেই বেশি টাকা চলে যাচ্ছে।

জ্বালানিবাহী ওয়াগনগুলোর ওজন বেশি হওয়ায়, দীর্ঘদিনের পুরনো রেল ট্র্যাক, পুরনো ইঞ্জিনের কারণে এমন দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে মনে করে তেল কোম্পানিগুলো। এর জন্য তেল পরিবহনে যা ভাড়া আসে তার চেয়ে বেশি চলে যায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধে।

আবহাওয়া

ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান

দুর্ঘটনায় তেল নষ্ট: ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেলওয়ে

প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সারাদেশে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এতে করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তেল নষ্ট হয় আর ক্ষতিপূরণ দিতে হয় রেলওয়েকে। গেল এক বছরে জ্বালানী তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলপথে জ্বালানি পরিবহন সাশ্রয়ী ও ঝুঁকিমুক্ত। সে কারণে ব্রিটিশ আমল থেকেই আগাম ভাড়া মিটিয়ে জ্বালানি পরিবহন করে আসছে তেল কোম্পানিগুলো। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রেলেও বার বার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। যার সবশেষ উদাহরণ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ট্রেনের তেলবাহী ৭টি বগির লাইনচ্যুতি। যেখানে প্রায় কোটি টাকার তেল নষ্ট হয়েছে।

রেলের সঙ্গে জ্বালানি বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর পরিবহন চুক্তি অনুযায়ী, পরিবহনের সময় কোন দুর্ঘটনা হলে ভাড়া ফেরতসহ তেলের দাম দিতে হবে রেলওয়েকে। গত বছরের ৭ নভেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তেলবাহী ৪টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে তেল নষ্ট হয়।

সে সময় মেঘনা অয়েল কোম্পানি রেলের কাছে ৮৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলো। এর একদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের ৫টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয় হবিগঞ্জে। এতে অগ্নিকাণ্ডও হয়। এর বাইরেও প্রতিবছরই তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চুক্তি অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে তেল কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দেয়া হয়। তবে অনেকে বলছেন এতে ভাড়ার চেয়ে ক্ষতিপূরণেই বেশি টাকা চলে যাচ্ছে।

জ্বালানিবাহী ওয়াগনগুলোর ওজন বেশি হওয়ায়, দীর্ঘদিনের পুরনো রেল ট্র্যাক, পুরনো ইঞ্জিনের কারণে এমন দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে মনে করে তেল কোম্পানিগুলো। এর জন্য তেল পরিবহনে যা ভাড়া আসে তার চেয়ে বেশি চলে যায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধে।