ফেনী জেলা প্রতিনিধি :
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপের সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—ভোলা জেলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২), একই থানার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ। নিহত অন্য চারজনের এখনো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নির্মাণশ্রমিকদের বহন করা একটি পিকআপ ফেনীর উদ্দেশ্যে আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পরপরই দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজনের লাশ অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে জানতে পেরেছি। দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত নাগর মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মতো ভবনের ঢালাই শেষে মেশিন নিয়ে তারা ১৮ জন পিকআপে করে ফেনী শহরে ফিরছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ঘটনার পর ঢাকামুখী সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। পরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।