Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বেচেন ছলেমান

১ টাকায় সিঙ্গাড়া বেচেন ছলেমান

কুষ্টিয়ার পোড়াদহে মাত্র ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বেচেন ছলেমান হোসেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির ভেতরে ১ টাকার সিঙ্গাড়া নাস্তার চাহিদা মেটাচ্ছে মহল্লার শিশু ও সকল বয়সের মানুষের। ৭০ বছর বয়সের ছলেমান বাকি জীবন এই এক টাকাতেই সিঙ্গাড়া বিক্রি করে যেতে চান।

কয়েকটি গণমাধ্যমে তার ১ টাকার সিঙ্গাড়া কথা প্রচারিত হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যান এই প্রবীণ সিঙ্গাড়া বিক্রেতা।

এলাকার লোকেরা তাকে চেনে ছলেমান চাচা নামেই। চিনবে নাই বা কেন, তিনি যে ৩০ বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বিক্রি করে চলেছেন। মুচমুচে সিঙ্গাড়া একটি কাঁচঘেরা বাক্সে ভরে তা ফেরি করেন ছলেমান। ছলেমানের সিঙ্গাড়ার ভক্তরাও তার কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া কিনতে পেরে খুশি।

তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছলেমানের সংসার। দুই ছেলে আলাদা সংসারে থাকেন। স্ত্রী ও মেয়ের সাথে থাকেন তিনি। ১৯৭২ সাল থেকে তার সিঙ্গাড়া ব্যবসা শুরু। বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি চুয়াডাঙার বিভিন্ন ট্রেনে ফেরি করে সিঙ্গাড়া বিক্রি করেন।

আরও পড়ুন : দূষণ কমাতে বিশেষ গরুর গাড়ি! (ভিডিও)

সিঙ্গাড়া বিক্রেতা হলেও তার জীবন দর্শনের অনেকটা বোঝা যায় তার কথায়। তিনি বলেন, ‘গরিব ছোট ছোট শিশুদের কথা ভেবে দাম এক টাকাই রাখছি। যত দিন সিঙ্গাড়া বিক্রি করব, দাম এক টাকাই রাখব।

বর্তমানে প্রতিদিন ৮০০টি সিঙ্গাড়া তৈরি করেন ছলেমান। যা দুপুরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। বিক্রি শেষে যা লাভ হয়, তাতেই চলে যায় সংসার। উচ্চাভিলাষ না থাকায় সংসারে নেই তেমন টানাপোড়েন। সকাল ১০টার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার শিশু ও নারীরা ছলেমানের সুস্বাদু সিঙ্গাড়ার অপেক্ষায় থাকেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়লেও তার সিঙ্গাড়ার কেন দাম বাড়েনি, এমন প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধ ছলেমান চাচা বলেন, যাদের পাঁচ টাকা দামের সিঙ্গারা কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু খেতে মন চায়, তাদের জন্যই দাম বাড়াইনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

৩০ বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বেচেন ছলেমান

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

কুষ্টিয়ার পোড়াদহে মাত্র ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বেচেন ছলেমান হোসেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির ভেতরে ১ টাকার সিঙ্গাড়া নাস্তার চাহিদা মেটাচ্ছে মহল্লার শিশু ও সকল বয়সের মানুষের। ৭০ বছর বয়সের ছলেমান বাকি জীবন এই এক টাকাতেই সিঙ্গাড়া বিক্রি করে যেতে চান।

কয়েকটি গণমাধ্যমে তার ১ টাকার সিঙ্গাড়া কথা প্রচারিত হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যান এই প্রবীণ সিঙ্গাড়া বিক্রেতা।

এলাকার লোকেরা তাকে চেনে ছলেমান চাচা নামেই। চিনবে নাই বা কেন, তিনি যে ৩০ বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া বিক্রি করে চলেছেন। মুচমুচে সিঙ্গাড়া একটি কাঁচঘেরা বাক্সে ভরে তা ফেরি করেন ছলেমান। ছলেমানের সিঙ্গাড়ার ভক্তরাও তার কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে ১ টাকায় সিঙ্গাড়া কিনতে পেরে খুশি।

তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছলেমানের সংসার। দুই ছেলে আলাদা সংসারে থাকেন। স্ত্রী ও মেয়ের সাথে থাকেন তিনি। ১৯৭২ সাল থেকে তার সিঙ্গাড়া ব্যবসা শুরু। বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি চুয়াডাঙার বিভিন্ন ট্রেনে ফেরি করে সিঙ্গাড়া বিক্রি করেন।

আরও পড়ুন : দূষণ কমাতে বিশেষ গরুর গাড়ি! (ভিডিও)

সিঙ্গাড়া বিক্রেতা হলেও তার জীবন দর্শনের অনেকটা বোঝা যায় তার কথায়। তিনি বলেন, ‘গরিব ছোট ছোট শিশুদের কথা ভেবে দাম এক টাকাই রাখছি। যত দিন সিঙ্গাড়া বিক্রি করব, দাম এক টাকাই রাখব।

বর্তমানে প্রতিদিন ৮০০টি সিঙ্গাড়া তৈরি করেন ছলেমান। যা দুপুরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। বিক্রি শেষে যা লাভ হয়, তাতেই চলে যায় সংসার। উচ্চাভিলাষ না থাকায় সংসারে নেই তেমন টানাপোড়েন। সকাল ১০টার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার শিশু ও নারীরা ছলেমানের সুস্বাদু সিঙ্গাড়ার অপেক্ষায় থাকেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়লেও তার সিঙ্গাড়ার কেন দাম বাড়েনি, এমন প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধ ছলেমান চাচা বলেন, যাদের পাঁচ টাকা দামের সিঙ্গারা কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু খেতে মন চায়, তাদের জন্যই দাম বাড়াইনি।