Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে চুরি করতে ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে চুরির উদ্দেশ্যে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মনির হোসেন ও নুরুল ইসলাম শানু নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়। এর আগে সকালে ভবানীগঞ্জের চরউভূতি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পরে ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মুখোশ পরে চার ব্যক্তি তার কক্ষে ঢোকেন। ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে আগন্তুকরা। পরে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করেন। আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসার সময় ওই চারজন ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তার ঘরে ঢোকা চারজনের মধ্যে তিনি দুজনকে চিনতে পেরেছেন। বাকিদের চিনতে পারেননি তিনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেছেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তারা চুরির উদ্দেশ্যে ওই নারীর ঘরে ঢুকেছিল। পরে পরিকল্পনা করে তাকে ধর্ষণ করে। এসব তথ্য গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লক্ষ্মীপুরে চুরি করতে ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে চুরির উদ্দেশ্যে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মনির হোসেন ও নুরুল ইসলাম শানু নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়। এর আগে সকালে ভবানীগঞ্জের চরউভূতি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পরে ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মুখোশ পরে চার ব্যক্তি তার কক্ষে ঢোকেন। ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে আগন্তুকরা। পরে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করেন। আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসার সময় ওই চারজন ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তার ঘরে ঢোকা চারজনের মধ্যে তিনি দুজনকে চিনতে পেরেছেন। বাকিদের চিনতে পারেননি তিনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেছেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তারা চুরির উদ্দেশ্যে ওই নারীর ঘরে ঢুকেছিল। পরে পরিকল্পনা করে তাকে ধর্ষণ করে। এসব তথ্য গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে।