Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৫ জনে। এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭২ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২২১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২১ জনে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন করে মোট দু’জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (৩১২ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২১৩ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া গত একদিনে খুলনা বিভাগে ১৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন ছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২২১

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৫ জনে। এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭২ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২২১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২১ জনে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন করে মোট দু’জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (৩১২ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২১৩ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া গত একদিনে খুলনা বিভাগে ১৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন ছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।