Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী কুমিল্লায়

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

মালয়েশীয় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কুমিল্লার যুবক আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ ওরফে অপু (৩২) ও ইন্দোনেশীয় তরুণী নাজিফা মুনজারিন ওরফে সিনতা (২৫)। কাজের সূত্রে পরিচয়, এরপর প্রেম। একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। বিয়ে করতে সম্প্রতি দুজনেই এসেছেন কুমিল্লায়।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি হোটেলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাগিচাগাঁও এলাকার একটি পার্টি সেন্টারে হয় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। আর নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে। সিনতা জন্মগতভাবেই খ্রিষ্টধর্ম পালন করতেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপুর সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন সিনতা। এরপর ইসলামধর্ম গ্রহণ করে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই সিনতাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ। কিছুদিনের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া গিয়ে সেদেশের রীতিতে তাদের বিয়ের আরেকটি অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিয়ের পর নাজিফা মুনজারিন সিনতা তার ভাষায় বলেন, ইমতিয়াজের পরিবারের সবাই তাকে আপন করে নিয়েছে। ইমতিয়াজ মানুষ হিসেবে অসাধারণ। তারা সবার কাছে দোয়া চান। পুরো জীবন একসঙ্গে কাটাতে চান। বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে ভবিষ্যতে আবারও আসবেন বলে জানান তিনি।

নববধূতে মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজের মা ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটা ছেলে, কোনো মেয়ে নেই। এ জন্য আমার মনেই হয় না আমার ঘরে নতুন বউ এসেছে। মনে হচ্ছে, আমার একটি মেয়ে ঘরে এসেছে। সিনতা আমার মেয়ে হয়েই থাকবে। বিদেশি মেয়েদের মনমানসিকতা এত সুন্দর হতে পারে, সেটা সিনতাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। মেয়েটা আমাদের সবাইকে আপন করে নিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে।’

বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনে আছেন তিনি। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দুজনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান দুজন। সেই ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

তিনি বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই আমাকে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর তারা ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা। সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু আরো বলেন, সিনতা খুবই ভালো মেয়ে। তার সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে জীবনসঙ্গীনি হিসেবে পেয়ে আমি খুবই ধন্য। আমরা যেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারি সে জন্য সবার দোয়া চাই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী কুমিল্লায়

প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

মালয়েশীয় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কুমিল্লার যুবক আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ ওরফে অপু (৩২) ও ইন্দোনেশীয় তরুণী নাজিফা মুনজারিন ওরফে সিনতা (২৫)। কাজের সূত্রে পরিচয়, এরপর প্রেম। একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। বিয়ে করতে সম্প্রতি দুজনেই এসেছেন কুমিল্লায়।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি হোটেলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাগিচাগাঁও এলাকার একটি পার্টি সেন্টারে হয় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। আর নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে। সিনতা জন্মগতভাবেই খ্রিষ্টধর্ম পালন করতেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপুর সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন সিনতা। এরপর ইসলামধর্ম গ্রহণ করে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই সিনতাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ। কিছুদিনের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া গিয়ে সেদেশের রীতিতে তাদের বিয়ের আরেকটি অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিয়ের পর নাজিফা মুনজারিন সিনতা তার ভাষায় বলেন, ইমতিয়াজের পরিবারের সবাই তাকে আপন করে নিয়েছে। ইমতিয়াজ মানুষ হিসেবে অসাধারণ। তারা সবার কাছে দোয়া চান। পুরো জীবন একসঙ্গে কাটাতে চান। বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে ভবিষ্যতে আবারও আসবেন বলে জানান তিনি।

নববধূতে মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজের মা ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটা ছেলে, কোনো মেয়ে নেই। এ জন্য আমার মনেই হয় না আমার ঘরে নতুন বউ এসেছে। মনে হচ্ছে, আমার একটি মেয়ে ঘরে এসেছে। সিনতা আমার মেয়ে হয়েই থাকবে। বিদেশি মেয়েদের মনমানসিকতা এত সুন্দর হতে পারে, সেটা সিনতাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। মেয়েটা আমাদের সবাইকে আপন করে নিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে।’

বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনে আছেন তিনি। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দুজনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান দুজন। সেই ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

তিনি বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই আমাকে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর তারা ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা। সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু আরো বলেন, সিনতা খুবই ভালো মেয়ে। তার সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে জীবনসঙ্গীনি হিসেবে পেয়ে আমি খুবই ধন্য। আমরা যেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারি সে জন্য সবার দোয়া চাই।