Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে : কমিটি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে এবং এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির প্রধান।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। তবে কতো বছর করা হবে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য একটু সময় দিতে হবে।

মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

কী যৌক্তিকতা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।

‘তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কতটুকু বাড়ানো যায়।’ যোগ করেন তিনি।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন।

পরে ওইদিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।

সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্যসচিব।

কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে : কমিটি প্রধান

প্রকাশের সময় : ০২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে এবং এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির প্রধান।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। তবে কতো বছর করা হবে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য একটু সময় দিতে হবে।

মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

কী যৌক্তিকতা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।

‘তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো কতটুকু বাড়ানো যায়।’ যোগ করেন তিনি।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন।

পরে ওইদিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।

সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্যসচিব।

কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।