Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১১ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে গত মাস আগস্টের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরেও। প্রথম ২৮ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২১১ কোটি ৩১ লাখ (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।

আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।

আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১১ কোটি ডলার

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে গত মাস আগস্টের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরেও। প্রথম ২৮ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২১১ কোটি ৩১ লাখ (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।

আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।

আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।