Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ে ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনের কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকার পাশাপাশি দেখা মেলে ইন্টারনেট ব্লাকআউট। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে পড়ে প্রবাসী আয় পাঠানো। এর ফলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার ধাক্কা লাগে দেশের অর্থনীতিতে। প্রবাসী আয়ের এই নেতিবাচক ধারা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনে বেশি দামে হলেও রেমিট্যান্স সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি জুলাই মাসে ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ১৮ জুলাই আসে ৮৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ১৯ থেকে ২৪ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারে।

এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৪ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৯১ রাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। এটি আগের মাসের (জুন) চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর থেকে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্লাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। এরই প্রভাব পড়ে পুরো মাসের প্রবাসী আয়ে।

প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রণোদনা পান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোট সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রবাসী আয় কিছু কমার আশঙ্কার কারণে তুলনামূলক বেশি দামে হলে প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে প্রবাসী আয় সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি কেউ বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়ে থাকেন, ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউজগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাতে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

দেশে চলমান কারফিউয়ের মাঝে গত বুধবার থেকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকিং কার্যক্রম ফের চালু হওয়ায় মাসের শেষ দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করে জানান, নস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে (দেশীয় ব্যাংকগুলোর বিদেশে থাকা হিসাব) রেমিট্যান্সের হিসাব পুরোপুরি মিলছে না। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশে বৈধ পথে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিলো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

জুলাইয়ে ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার

প্রকাশের সময় : ০২:০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনের কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকার পাশাপাশি দেখা মেলে ইন্টারনেট ব্লাকআউট। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে পড়ে প্রবাসী আয় পাঠানো। এর ফলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার ধাক্কা লাগে দেশের অর্থনীতিতে। প্রবাসী আয়ের এই নেতিবাচক ধারা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনে বেশি দামে হলেও রেমিট্যান্স সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি জুলাই মাসে ২৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ১৮ জুলাই আসে ৮৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ১৯ থেকে ২৪ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারে।

এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৪ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ কোটি ৯১ রাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। এটি আগের মাসের (জুন) চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর থেকে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্লাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। এরই প্রভাব পড়ে পুরো মাসের প্রবাসী আয়ে।

প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রণোদনা পান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোট সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রবাসী আয় কিছু কমার আশঙ্কার কারণে তুলনামূলক বেশি দামে হলে প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে প্রবাসী আয় সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি কেউ বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়ে থাকেন, ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউজগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাতে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

দেশে চলমান কারফিউয়ের মাঝে গত বুধবার থেকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকিং কার্যক্রম ফের চালু হওয়ায় মাসের শেষ দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করে জানান, নস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে (দেশীয় ব্যাংকগুলোর বিদেশে থাকা হিসাব) রেমিট্যান্সের হিসাব পুরোপুরি মিলছে না। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশে বৈধ পথে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিলো।