নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সম্প্রতি ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও সন্দেহজনক। ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে সন্দেহের বাইরে রাখার সুযোগ নেই। বিএনপির যেহেতু অগ্নিসন্ত্রাসের রেকর্ড আছে স্বাভাবিকভাবে সন্দেহভাজনদের তালিকায় তাদেরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। তাদের সন্দেহের বাইরে ছেড়ে দেওয়া যায় না।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (শাড়ি-লুড়ি) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে আহ্বান জানাবো, অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য। কারণ বিএনপি-জামায়অত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছর পেছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কী অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তা-ঘাটের অবস্থা কী ছিল? শিক্ষার সুযোগ কী ছিল? চিকিৎসার ব্যবস্থা কী ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এত অর্জন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজকে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এ দেশের মেহনতি কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা আমাদের বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভাগ্য যে, যখনই এদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত-বিএনপি ও পাকিস্তানি মতাদর্শীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের পথ পাল্টে দিয়ে এদেশকে একটা জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ওই প্রতিবিল্পবী মহল।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পাঠিয়েছেন কিছু ঈদ উপহার দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে গৃহহীনদের ঘর দিতে পারে না। সেখানে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের একটা দেশে সেটা সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছে। তারা যাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা একটি মিশনে নেমেছে সেটা হলো ভারতীয় পণ্য বর্জন। আপনারা জানেন ভারতীয় পণ্য এদেশে না এলে দ্রব্যমূল্যের ওপর আরও চাপ পড়বে। জনগণের সমস্যা সৃষ্টি হবে। জনগণ ক্ষিপ্ত হবে, সরকার বেকায়দায় পড়বে। আর একারণেই নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে। তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলবো-বঙ্গবন্ধুকন্যা কী চান, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্র-অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে এবং এইচ এম রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, তাজউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সস্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।