Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মদ আসে বিনা শুল্কে, খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে আর খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে! আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? ৭১ সালে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশকে কেনো স্বাধীন করেছিলাম? কথা ছিলো গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না পাওয়ার পেছনে কারও প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, আজকে এই উপমহাদেশের অনেক ছোটো ছোটো দেশ বড় দেশের পেটে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা না। ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগ আসবে দেশের জনগণ ও তরুণরা সেটা প্রমাণ করবে।

দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ চলছে। অঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সব পেশার মানুষকে। কেননা আমরা এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান, কালভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার তখন আঘাত করবো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবো না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করবো। আমরা কি পেলাম আর কি পেলাম না, এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কি দিলাম, জনগণের জন্য কি করতে পারলাম, এই ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, এই সরকারকে হটিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো, ইন শা আল্লাহ। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আজকে আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্ব ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাব নেতা ডা. একেএম আজিজুল হক, ডা. এমএ সেলিম, ডা. মো. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহিদ হাসান, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

মদ আসে বিনা শুল্কে, খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে আর খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে! আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? ৭১ সালে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশকে কেনো স্বাধীন করেছিলাম? কথা ছিলো গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না পাওয়ার পেছনে কারও প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, আজকে এই উপমহাদেশের অনেক ছোটো ছোটো দেশ বড় দেশের পেটে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা না। ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগ আসবে দেশের জনগণ ও তরুণরা সেটা প্রমাণ করবে।

দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ চলছে। অঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সব পেশার মানুষকে। কেননা আমরা এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান, কালভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার তখন আঘাত করবো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবো না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করবো। আমরা কি পেলাম আর কি পেলাম না, এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কি দিলাম, জনগণের জন্য কি করতে পারলাম, এই ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, এই সরকারকে হটিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো, ইন শা আল্লাহ। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আজকে আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্ব ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাব নেতা ডা. একেএম আজিজুল হক, ডা. এমএ সেলিম, ডা. মো. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহিদ হাসান, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।