Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১২৬৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবাসী আয়ে ফের সুবাতাস বইছে। গত মাসের পর চলতি মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৬ দিনে বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এই হিসেবে দৈনিক গড়ে আসছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৬৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের ১৬ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা ছিল কোনো অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স কেনায় ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ থেকে ১২৫ টাকা দরে পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে। যে কারণে প্রবাসী আয় বাড়ছে।

২০২৩ সাল ও তার আগের বছরে যে হারে মানুষ কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসা ও অর্থ পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে সে অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, পাচার কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ে। আগামী মাসগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১২৬৫০ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রবাসী আয়ে ফের সুবাতাস বইছে। গত মাসের পর চলতি মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৬ দিনে বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এই হিসেবে দৈনিক গড়ে আসছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৬৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের ১৬ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা ছিল কোনো অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স কেনায় ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ থেকে ১২৫ টাকা দরে পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে। যে কারণে প্রবাসী আয় বাড়ছে।

২০২৩ সাল ও তার আগের বছরে যে হারে মানুষ কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসা ও অর্থ পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে সে অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, পাচার কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ে। আগামী মাসগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।