Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নার্স স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

তাহমিনা সুলতানা শিমু

নরসিংদীতে এক পাষণ্ড স্বামী তার নার্স স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে। নিহত সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা সুলতানা শিমুর (৩২) বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে চিনিশপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার এক ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তাহমিনা বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান উদ্দিনের মেয়ে। আর স্বামী রহুল আমিন মুরাদ একই উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জে জাহাজে কাজ করেন।

নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ২০১৪ সালে তাহমিনার সাথে পার্শ্ববর্তী পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের রুহুল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শ্বশুর পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

এ ঘটনায় একবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এক বছর আলাদা থাকেন তাহমিনা। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সমঝোতায় সংসার শুরু করলেও টাকার জন্য চাপ কমেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি শ্বশুরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন, শাশুড়িকে চিকিৎসা করান। তারপরও বুধবার রাতে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন স্বামী রুহুল আমিন।

আরও পড়ুন : ৬০ হাজার টাকায় ধর্ষককে ছাড় দিয়েছেন নারী কাউন্সিলর

পরে রুহুল আমিন পার্শ্ববর্তী তাহমিনার আপন খালা পারুল আফ্রাদকে জানান তাহমিনা কেমন জানি করছে। খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে অচেতন অবস্থায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বড় বোন সাদিকুন নাহার রিপা বলেন, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালে যোগদান করে গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর বাসায় ওঠে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে আমার সঙ্গে শিমুর কথা হয়। সে জানায়, সন্ধ্যায় শ্বশুর তার স্বামীকে ফোন করে টাকার জন্য চাপ দেয়। আর রাতেই তাকে হত্যা করা হলো।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে তাহমিনার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। আর নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইরান থেকে দেশে ফিরেছেন আরো ৩০ বাংলাদেশি

নার্স স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

নরসিংদীতে এক পাষণ্ড স্বামী তার নার্স স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে। নিহত সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা সুলতানা শিমুর (৩২) বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে চিনিশপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার এক ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তাহমিনা বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান উদ্দিনের মেয়ে। আর স্বামী রহুল আমিন মুরাদ একই উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জে জাহাজে কাজ করেন।

নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ২০১৪ সালে তাহমিনার সাথে পার্শ্ববর্তী পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের রুহুল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শ্বশুর পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

এ ঘটনায় একবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এক বছর আলাদা থাকেন তাহমিনা। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সমঝোতায় সংসার শুরু করলেও টাকার জন্য চাপ কমেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি শ্বশুরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন, শাশুড়িকে চিকিৎসা করান। তারপরও বুধবার রাতে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন স্বামী রুহুল আমিন।

আরও পড়ুন : ৬০ হাজার টাকায় ধর্ষককে ছাড় দিয়েছেন নারী কাউন্সিলর

পরে রুহুল আমিন পার্শ্ববর্তী তাহমিনার আপন খালা পারুল আফ্রাদকে জানান তাহমিনা কেমন জানি করছে। খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে অচেতন অবস্থায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বড় বোন সাদিকুন নাহার রিপা বলেন, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালে যোগদান করে গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর বাসায় ওঠে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে আমার সঙ্গে শিমুর কথা হয়। সে জানায়, সন্ধ্যায় শ্বশুর তার স্বামীকে ফোন করে টাকার জন্য চাপ দেয়। আর রাতেই তাকে হত্যা করা হলো।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে তাহমিনার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। আর নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।