Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিলো ইউনেসকো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রমজান মাসের ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এ স্বীকৃতির কথা জানায় সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইফতারকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে আবেদন করে ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে।

সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’

এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

এদিকে, একইদিনে ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র।

আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ-বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

গত ছয় বছর ধরে রিকশা চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেয়ার সুযোগ মিললে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিলো ইউনেসকো

প্রকাশের সময় : ০৮:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রমজান মাসের ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এ স্বীকৃতির কথা জানায় সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইফতারকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে আবেদন করে ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে।

সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’

এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

এদিকে, একইদিনে ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র।

আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ-বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

গত ছয় বছর ধরে রিকশা চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেয়ার সুযোগ মিললে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।