Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রের ওপর দিয়ে চীনের প্রথমবারের মতো ছুটলো দ্রুতগতির ট্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দ্রুতগতির ট্রেনের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি চীনের। দেশটির যোগাযোগব্য বস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এসব ট্রেন। এবার চীনে দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। দেশটিতে সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেললাইনে ছুটে চলে এমন একটি দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হয়েছে।

চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলে চলছে এই ট্রেন। ২৭৭ কিলোমিটার বা প্রায় ১৭২ মাইল দীর্ঘ রেলপথটি ঝাংঝো, জিয়ামেন ও ফুঝো শহরগুলিকে সংযুক্ত করে। এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার বা প্রায় ২১৭ মাইল।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ পথে প্রথম দ্রুতগতির ট্রেন চালু হয়েছে। ওই দিন সকালে প্রাদেশিক রাজধানী ফুজহোউ শহর থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এই রেলপথে মোট ৮৪টি সেতু ও ২৯টি টানেল রয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রের ওপরে এই ২০ কিলোমিটার বা প্রায় ১২ মাইল রেলপথটি বানানো হয়েছে। এটি চীনে প্রথম সমুদ্রের ওপর দিয়ে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন।

চীনা রেলওয়ে জানিয়েছে, এই রেল লাইন নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বুদ্ধিমান রোবট। এই রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ‘এইট হোরাইজন্টাল অ্যান্ড এইট ভার্টিক্যাল’ প্রকল্পের আওতায় এই রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের পর্বত ও সমুদ্রবেষ্টিত ভূপ্রকৃতি এই প্রকল্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুজিয়ান প্রদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জিয়ামেন শহরের অবস্থান তাইওয়ান প্রণালি পেরিয়ে মাত্র আড়াই মাইল দূরে। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ মনে করে আসছে। এটা নিয়ে চীনের সঙ্গে তাইওয়ান ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ চলছে।

সিনহুয়ার তথ্য বলছে, সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে তাইওয়ান ও ফুজিয়ানের মধ্যে আরও ভালো সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

সমুদ্রের ওপর দিয়ে চীনের প্রথমবারের মতো ছুটলো দ্রুতগতির ট্রেন

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দ্রুতগতির ট্রেনের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি চীনের। দেশটির যোগাযোগব্য বস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এসব ট্রেন। এবার চীনে দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। দেশটিতে সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেললাইনে ছুটে চলে এমন একটি দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হয়েছে।

চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলে চলছে এই ট্রেন। ২৭৭ কিলোমিটার বা প্রায় ১৭২ মাইল দীর্ঘ রেলপথটি ঝাংঝো, জিয়ামেন ও ফুঝো শহরগুলিকে সংযুক্ত করে। এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার বা প্রায় ২১৭ মাইল।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ পথে প্রথম দ্রুতগতির ট্রেন চালু হয়েছে। ওই দিন সকালে প্রাদেশিক রাজধানী ফুজহোউ শহর থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এই রেলপথে মোট ৮৪টি সেতু ও ২৯টি টানেল রয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রের ওপরে এই ২০ কিলোমিটার বা প্রায় ১২ মাইল রেলপথটি বানানো হয়েছে। এটি চীনে প্রথম সমুদ্রের ওপর দিয়ে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন।

চীনা রেলওয়ে জানিয়েছে, এই রেল লাইন নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বুদ্ধিমান রোবট। এই রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ‘এইট হোরাইজন্টাল অ্যান্ড এইট ভার্টিক্যাল’ প্রকল্পের আওতায় এই রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের পর্বত ও সমুদ্রবেষ্টিত ভূপ্রকৃতি এই প্রকল্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুজিয়ান প্রদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জিয়ামেন শহরের অবস্থান তাইওয়ান প্রণালি পেরিয়ে মাত্র আড়াই মাইল দূরে। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ মনে করে আসছে। এটা নিয়ে চীনের সঙ্গে তাইওয়ান ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ চলছে।

সিনহুয়ার তথ্য বলছে, সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে তাইওয়ান ও ফুজিয়ানের মধ্যে আরও ভালো সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।