নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাইফুল আলম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, আজিজুল বারী হেলাল, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।
এর আগে মির্জা ফখরুলসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষ তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রার্থনা করেন।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থণা করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসাথে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিন্টু রোডের ইস্কাটন থেকে ময়লা আনার জন্য গাড়ি চালিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ড যাচ্ছিলেন। কাকরাইল থেকে পল্টন বিজয়নগরের দিকে আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ জনের একটি মিছিল বের হয়। তারা গাড়ি থামিয়ে চালকের সহকারীকে মারধর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা গাড়িও ভাংচুর করে। এতে দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই তিনি পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর মারা গেছেন শফিউল বারী বাবু।
																			
										
																নিজস্ব প্রতিবেদক								 























