নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নতুন পেঁয়াজ আসতে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ১৩ লাখ টন আমদানি অনুমতির বিপরীতে মাত্র ৩ লাখ টন আমদানি হয়েছে। তাই সঙ্কট বাড়ছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিসর, চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়না, জাপান, ইরান, মিসর এসব দেশ থেকে কেউ যদি পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সরকার অনুমতি দেবে। এটা হলে দাম বাড়বে না।
তিনি বলেন, মিশর বা তুরস্ক থেকে আমদানি করা যায় কি-না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অন্য যেকোনো দেশ থেকে কোনো ব্যবসায়ী আমদানি করতে চাইলে অনুমতি দেয়া হবে।
ভারতের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার কীভাবে সামলাবো সেটা মোকাবিলা করাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু ভারত কোনো ধরনের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, এটা দুঃখজনক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত সুযোগ দেওয়া।
সম্প্রতি ভারত সফর করে আসা ক্ষমতাসীন দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভারত পেঁয়াজে রফতানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশেকে অনেক ভুগতে হয়। সম্প্রতি ভারত সফরে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রীকে এমনটা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা গমের ক্ষেত্রে আর এমন করবে না বলে আশ্বস্ত করেছিল। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবে কি না জানি না।
পেঁয়াজের সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বড় সমস্যা হলো পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না, পচে যায়। এটা একটা সমস্যা। চলতি বছরে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে। গতবার দাম না পাওয়াতে চাষিরা পেঁয়াজ উৎপাদন কম করেছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপাদন ও সরবরাহ করা না গেলে, সিন্ডিকেট ভেঙে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।