Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুরাইনে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন মাদবর বাজার এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধরা হচ্ছেন- আলতাফ সিকদার (৭০), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০) ও তার স্বামী আতাহার আলী (৩৫) এবং তাদের মেয়ে আফসানা (৫)। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কচুয়া আলতাফের গ্রামের বাড়ি।

দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক মো. মাহাবুব বলেন, জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মান্নান মাস্টারের চতুর্থ তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তার বোনের পরিবার। ভগ্নিপতি হকারি করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, তাদের ভাড়া বাসার পাশের বাড়ির গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ভগ্নিপতিদের রুমে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে ভাগনি মুক্তা রান্নাঘরে চুলা ধরাতে যায়। সে সময় দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিস্ফোরণ হয়ে গোটা রুমে আগুন ধরে যায়। এতে সবাই দগ্ধ হয়। সংবাদ শুনে তাদেরকে উদ্ধার করে অন্যদের সহযোগিতায় রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

ওই এলাকাতে বেশির ভাগ সময়ে গ্যাস থাকে না জানিয়ে মো. মাহাবুব বলেন, ‘যা থাকে তা একেবারে কম, তা দিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। তবে রাতে গ্যাস থাকে, এজন্য রাতেই রান্নার কাজ বেশি হয়।’

ভাগনি মুক্তা খাতুন এক সপ্তাহ আগে তার বাবার ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিল বলেও জানান দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে জুরাইন থেকে নারী শিশুসহ দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে আতাহার আলীর ৫০ শতাংশ, আলতাব শিকদারের ২ শতাংশ, মুক্তা খাতুনের ৪৫ শতাংশ, মর্জিনা বেগমের ৫ শতাংশ ও শিশু আফসানার ২৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে জরুরি বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে বাকি দুজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুরাইনে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৫

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন মাদবর বাজার এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধরা হচ্ছেন- আলতাফ সিকদার (৭০), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০) ও তার স্বামী আতাহার আলী (৩৫) এবং তাদের মেয়ে আফসানা (৫)। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কচুয়া আলতাফের গ্রামের বাড়ি।

দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক মো. মাহাবুব বলেন, জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মান্নান মাস্টারের চতুর্থ তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তার বোনের পরিবার। ভগ্নিপতি হকারি করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, তাদের ভাড়া বাসার পাশের বাড়ির গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ভগ্নিপতিদের রুমে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে ভাগনি মুক্তা রান্নাঘরে চুলা ধরাতে যায়। সে সময় দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিস্ফোরণ হয়ে গোটা রুমে আগুন ধরে যায়। এতে সবাই দগ্ধ হয়। সংবাদ শুনে তাদেরকে উদ্ধার করে অন্যদের সহযোগিতায় রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

ওই এলাকাতে বেশির ভাগ সময়ে গ্যাস থাকে না জানিয়ে মো. মাহাবুব বলেন, ‘যা থাকে তা একেবারে কম, তা দিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। তবে রাতে গ্যাস থাকে, এজন্য রাতেই রান্নার কাজ বেশি হয়।’

ভাগনি মুক্তা খাতুন এক সপ্তাহ আগে তার বাবার ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিল বলেও জানান দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে জুরাইন থেকে নারী শিশুসহ দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে আতাহার আলীর ৫০ শতাংশ, আলতাব শিকদারের ২ শতাংশ, মুক্তা খাতুনের ৪৫ শতাংশ, মর্জিনা বেগমের ৫ শতাংশ ও শিশু আফসানার ২৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে জরুরি বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে বাকি দুজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।