নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। হিরো আলমের অভিযোগের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে হামলার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে হঠাৎ ঘটনাটি ঘটেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে সাতজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। কিছু নাম পেয়েছি, তাদের বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। গলার মধ্যে ব্যাজ ধারণ করে যারা এই হামলা করেছে তাদের মোটিভ কী ছিল তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এক দলের ব্যাজ ধারণ করা লোকগুলো তৃতীয় কোনো পক্ষের ছিল কি না তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, আটক সাতজন হলেন- সানোয়ার কাজী (২৮), বিপ্লব হোসেন (৩১), মেহেদী (২৭), মোজাহিদ ( ২৭), আশিক (২৪), হৃদয় (২৪) ও সৈয়দ মোল্লা (২৫)।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ হিরো আলমের অফিসে গেছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে মামলা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই তিনি অফিস ছেড়ে চলে গেছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, সকাল ১০টার দিকে হিরো আলম বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে দিনের বেলায় যখন কথা হয়েছে, তখন তিনি বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। পরের তিনটার দিকে অনেক লোক নিয়ে আবারও তিনি বিদ্যানিকেতন স্কুলের কেন্দ্রে যান। আমরা সিসিটিভি ফুটেছে দেখছি হিরো আলম কাউকে মারতে উদ্যত হচ্ছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলতে দেখা গেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।