নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদুল আজহার ছুটিতে এটিএম (অটোমেটিক ট্রেলার মেশিন) বুথ, পয়েন্ট অব সেল, কিউআর কোড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়িয়ে ৪ দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই হিসাবে আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি থাকবে ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে ঈদের আগের দিন রাত দশটা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। বন্ধের মধ্যেও এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোরবানির পশুর হাটসংলগ্ন যেকোনো ব্যাংকের শাখা ঈদের আগের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পোশাকশিল্প এলাকায়ও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক লেনদেন চালু রাখতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করা, কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুত নিরসনের ব্যবস্থা, বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করা, টাকা উত্তোলনের একক লেনদেনের সর্বোচ্চ পরিমাণ সমান রাখা, বুথের পাহারাদারের সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বুথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা।
পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে, সার্বক্ষণিক পিওএস ও কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন সেবা নিশ্চিত করা, জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহকদের সচেতন করা।
ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে, অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পাদিত লেনদেন ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা আবশ্যিকভাবে নিশ্চিত করা।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ক্ষেত্রে, এমএফএস সেবা দেওয়া সব ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কম্পানিগুলোর নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন ও এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে যেকোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।
ঈদের ছুটিতে ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া যেকোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করা, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সকল ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা, গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় তার ব্যবস্থা করা এবং সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।