Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভোলার লালমোহন উপজেলা সদর থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের উপর নির্মিত চতলাবাজারের উত্তর পাশে চতলা খালের উপর নির্মিত সেতুর দু’পাশের রেলিং ভেঙে ব্রিজটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। ইট ও ঢালাই খসে পড়ে ভেঙে যাওয়া  সেতুর রডের ফাঁক দিয়ে নিচে খালের পানি দেখা যাচ্ছে। ভাঙা সেতুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন।

সেতুটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন অনেকে। স্থানীরা সেতুটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য গাছ, কাঠ ও তক্তা দিয়ে জোড়া তালির মাধ্যমে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে কাঠ ও তক্তা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। ভাঙা সেতুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, ভ্যান, অটো ও মটরসাইকেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সেতুটির উপর দিয়ে।

স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, সেতুটি ভাঙার কারনে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারেনা। দীর্ঘ দিন সেতুটি ভেঙে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই। সফিজল ও বজলুর রহমান নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন প্রতিদিন এই সেতুটি কয়েকশত মানুষ ও যাত্রীবাহী গাড়ী আসা যাওয়া করে সেতুটা পূননির্মাণ করা জরুরী।

স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে সেতুটি ভাঙার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূর্ঘটনা পতিত হয়েছেন। আমি নিজেও ভাঙা যায়গায় পরে মারাত্মক আহত হয়েছি। গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন এই সেতুটি দিয়ে যাত্রী বাহী গাড়ি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এখান দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসে এবং যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মান করার দাবী জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের নিকট।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, সেতুটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। উক্ত ব্রিজটি ছাড়াও উপজেলায় মোট ১২ টি সেতু সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

লালমোহনে সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভোলার লালমোহন উপজেলা সদর থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের উপর নির্মিত চতলাবাজারের উত্তর পাশে চতলা খালের উপর নির্মিত সেতুর দু’পাশের রেলিং ভেঙে ব্রিজটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। ইট ও ঢালাই খসে পড়ে ভেঙে যাওয়া  সেতুর রডের ফাঁক দিয়ে নিচে খালের পানি দেখা যাচ্ছে। ভাঙা সেতুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন।

সেতুটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন অনেকে। স্থানীরা সেতুটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য গাছ, কাঠ ও তক্তা দিয়ে জোড়া তালির মাধ্যমে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে কাঠ ও তক্তা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। ভাঙা সেতুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, ভ্যান, অটো ও মটরসাইকেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সেতুটির উপর দিয়ে।

স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, সেতুটি ভাঙার কারনে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারেনা। দীর্ঘ দিন সেতুটি ভেঙে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই। সফিজল ও বজলুর রহমান নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন প্রতিদিন এই সেতুটি কয়েকশত মানুষ ও যাত্রীবাহী গাড়ী আসা যাওয়া করে সেতুটা পূননির্মাণ করা জরুরী।

স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে সেতুটি ভাঙার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূর্ঘটনা পতিত হয়েছেন। আমি নিজেও ভাঙা যায়গায় পরে মারাত্মক আহত হয়েছি। গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন এই সেতুটি দিয়ে যাত্রী বাহী গাড়ি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এখান দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসে এবং যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মান করার দাবী জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের নিকট।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, সেতুটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। উক্ত ব্রিজটি ছাড়াও উপজেলায় মোট ১২ টি সেতু সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।