Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবিষ্যতে দেখব, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই যোগ্য আছেন, একজনকে তো দিতে হবে। সব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে আমরা একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি। যাদের মনোনয়ন দিতে পারিনি তাদের হয়ত কষ্ট লাগবে, কারণ তারাও যোগ্য। আমরা অবশ্যই সামনের দিনে তাদের দেখব। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সবাই ভালো থাকবেন। ক্ষমতায় না এলে সবার কষ্ট হবে।

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়। এর প্রমাণ আমরা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বেড়েছে।

২০০৯ সাল থেকে দেশে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, এটা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ৭৫-২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায়, অত্যাচার হয়েছে, আমরা তার প্রতিশোধ নেইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে। ফলে আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে।

সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সু-সংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলে দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।

বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের উস্কানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ সংগঠনের নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ভবিষ্যতে দেখব, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই যোগ্য আছেন, একজনকে তো দিতে হবে। সব হিসাবনিকাশ মিলিয়ে আমরা একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি। যাদের মনোনয়ন দিতে পারিনি তাদের হয়ত কষ্ট লাগবে, কারণ তারাও যোগ্য। আমরা অবশ্যই সামনের দিনে তাদের দেখব। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সবাই ভালো থাকবেন। ক্ষমতায় না এলে সবার কষ্ট হবে।

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়। এর প্রমাণ আমরা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বেড়েছে।

২০০৯ সাল থেকে দেশে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, এটা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ৭৫-২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায়, অত্যাচার হয়েছে, আমরা তার প্রতিশোধ নেইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে। ফলে আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে।

সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সু-সংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলে দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।

বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের উস্কানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ সংগঠনের নেতারা।