Dhaka মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১৩ মাসে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৩৪০ জন। এরমধ্যে চলতি বছরেই মারা যান ৬৬ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ, ৩৫ জন নারী এবং শিশু রয়েছেন ১২ জন। মৃত্যুদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক। এসব মৃত্যু হয়েছে কৃষি জমিতে কাজ করার সময়, অথবা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে। আবার বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময়, এছাড়া মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য জানায়। সংগঠনটি বজ্রপাতে মৃত্যু নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

এই পরিসংখ্যান করা হয় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশনের তথ্যের ভিত্তিতে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুর তথ্য নেওয়া হয় পরিসংখ্যানে।

এতে জানানো হয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩৪০ জন মারা গেছেন। আর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ আর ৩৫ জন নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ১২ জন শিশুও রয়েছে।

এসএসটিএফের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বজ্রপাতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। এরপর থেকে ৩ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে ৬৩ জন পুরুষ ও তিনজন নারী, আর দুজন শিশু এবং চারজন কিশোর রয়েছে। আহত হয়েছেন আটজন। এরমধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।

চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মার্চ থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এই মাসে মারা যান ১৫ জন। আর এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন একজন।

এবছর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে সাতজন। আর সিলেট জেলায় মারা গেছে পাঁচজন।

এসময় সংগঠনের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার ও সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সরকারের কাছে দুই দফা দাবি করেন।

এরমধ্যে একটি হলো সচেতনতা বাড়াতে বজ্রপাত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা। আরেকটি হলো মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সচিবালয়ের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদারে ৭ নির্দেশনা

১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১৩ মাসে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৩৪০ জন। এরমধ্যে চলতি বছরেই মারা যান ৬৬ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ, ৩৫ জন নারী এবং শিশু রয়েছেন ১২ জন। মৃত্যুদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক। এসব মৃত্যু হয়েছে কৃষি জমিতে কাজ করার সময়, অথবা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে। আবার বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময়, এছাড়া মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য জানায়। সংগঠনটি বজ্রপাতে মৃত্যু নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

এই পরিসংখ্যান করা হয় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশনের তথ্যের ভিত্তিতে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুর তথ্য নেওয়া হয় পরিসংখ্যানে।

এতে জানানো হয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩৪০ জন মারা গেছেন। আর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ আর ৩৫ জন নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ১২ জন শিশুও রয়েছে।

এসএসটিএফের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বজ্রপাতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। এরপর থেকে ৩ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে ৬৩ জন পুরুষ ও তিনজন নারী, আর দুজন শিশু এবং চারজন কিশোর রয়েছে। আহত হয়েছেন আটজন। এরমধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।

চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মার্চ থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এই মাসে মারা যান ১৫ জন। আর এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন একজন।

এবছর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে সাতজন। আর সিলেট জেলায় মারা গেছে পাঁচজন।

এসময় সংগঠনের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার ও সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সরকারের কাছে দুই দফা দাবি করেন।

এরমধ্যে একটি হলো সচেতনতা বাড়াতে বজ্রপাত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা। আরেকটি হলো মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো।