আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ২০১৯ সালের ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর দুই বছর দণ্ড পাওয়ায় পার্লামেন্টের সদস্যপদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি।
লোকসভা সচিবালয় জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (২৪ মার্চ) বলা হয়, কেরালার ওয়েনাড সংসদীয় নির্বাচনি এলাকার প্রতিনিধিত্বকারী শ্রী রাহুল গান্ধী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আর্টিকেল ১০২(১)(ই) এর বিধান অনুসারে লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ থেকে।
বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মনীশ তেওয়ারি এ সিদ্ধান্তকে ভুল বলেছেন। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘লোকসভা সচিবালয় কোনও এমপিকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে না। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি করতে হবে।’
কংগ্রেসের আরেক সিনিয়র সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো কিছু না। ।
টুইটে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপটি দেখে আমি হতবাক। এটি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।’
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ এনে শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকটি রাজ্যের কংগ্রেস ইউনিট একযোগে বিক্ষোভ শুরু করেছে। এসময় গ্রেপ্তার আটক হয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমারসহ অনেক নেতাকর্মী।
বিজেপি বলছে, রাহুল ‘চোর’ মন্তব্য দিয়ে ওবিসি সম্প্রদায়কে অপমান করেছে। পরে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘তার দল যখন জনগণের টাকা নিয়ে কে পালিয়েছে তাদের খুঁজছে, তখন বিজেপি মূল ইস্যু থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টায় এসব করছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার গুজরাটের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রাহুলকে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, কংগ্রেস দলের সংসদ সদস্য রাহুল সাজা ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে এখনই জেলে যেতে হবে না রাহুলকে। তাকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দিয়েছে আদালত। এ সময়ে দোষী সাব্যস্ততার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে পারবেন রাহুল। সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি