Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তের গোলে রোমাঞ্চকর জয় লিভারপুল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সতীর্থের গোলে অবদান রেখে এবং পরক্ষণেই নিজে দারুণ একটি গোল করে দলকে পথ দেখালেন মোহামেদ সালাহ। বিরতির আগে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল আতলেতিকো মাদ্রিদ। শেষ দিকে আরেকবার জালে বল পাঠাল তারা। তবে আটকাতে পারল না লিভারপুলকে। নাটকীয় লড়াইয়ে শেষদিকে অধিনায়কের গোলে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল আর্না স্লটের দল।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে লিভারপুল আবারও উপহার দিয়েছে নাটকীয় একটি জয়। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকোকে আর্নে স্লটের শিষ্যরা হারিয়েছে ৩-২ গোলে। অ্যান্ডি রবার্টসনের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান মোহামেদ সালাহ। মার্কোস ইয়োরেন্তের জোড়া গোলে পয়েন্ট পাওয়ার আশা জাগায় আতলেতিকো। কিন্তু শেষ সময়ে তাদের আশা গুঁড়িয়ে দেন ভার্জিল ফন ডাইক।

চতুর্থ মিনিটে তার নেওয়া নিচু ফ্রি কিকে আলতো এক ছোঁয়ায় বলের দিক পাল্টে দেন অ্যান্ডি রবার্টসন। জায়গায় দাঁড়িয়ে বলের জালে জড়ানো দেখেন আতলেতিকোর জার্সিতে ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নামা ইয়ান ওবলাক।

দুই মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ান সালাহ। বল পায়ে কারিকুরি করে রায়ান খাফেনবেখকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, এরপর ফিরতি পাস ধরে প্রতিপক্ষের তিন জনের চ্যালেঞ্জ সামলে নিচু শটে গোলটি করেন মিশরের ফরোয়ার্ড।

১৫ মিনিট পর গোল হতে পারতো আরেকটি; তবে এবার তার জোরাল কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম খেলতে নামা আলেকসান্দার ইসাকের ৪১তম মিনিটে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। পরের মিনিটে ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে থেকেও ওবলাকের চ্যালেঞ্জের মুখে হতাশ করেন ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎস।

এরপরই একটি গোল শোধ করে লড়াইয়ে ফেরে আতলেতিকো। জাকোমো রাসপাদোরির পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে আলিসনকে পরাস্ত করেন মার্কোস ইয়োরেন্তে। এটা ছিল লক্ষ্যে তাদের দ্বিতীয় শট।

দারুণ গোছানো এক পাল্টা-আক্রমণে ৬৫তম মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও হতাশ হতে হয় সালাহকে। ভিয়েৎসের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে তার নেওয়া শট বাধা পায় পোস্টে।

ওই ব্যর্থতা অনেক বড় হয়ে ওঠে পরে, ৮১তম মিনিটে ইয়োরেন্তের দর্শনীয় গোলে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে সমতা টানেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় যেন মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। টানা আক্রমণে পরপর কয়েকটি কর্নার পায় তারা। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তেমনই এক কর্নারে হেডে দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন অধিনায়ক ও ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি যাওয়া জেনারেটরসহ যুবক গ্রেফতার

শেষ মুহূর্তের গোলে রোমাঞ্চকর জয় লিভারপুল

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সতীর্থের গোলে অবদান রেখে এবং পরক্ষণেই নিজে দারুণ একটি গোল করে দলকে পথ দেখালেন মোহামেদ সালাহ। বিরতির আগে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল আতলেতিকো মাদ্রিদ। শেষ দিকে আরেকবার জালে বল পাঠাল তারা। তবে আটকাতে পারল না লিভারপুলকে। নাটকীয় লড়াইয়ে শেষদিকে অধিনায়কের গোলে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল আর্না স্লটের দল।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে লিভারপুল আবারও উপহার দিয়েছে নাটকীয় একটি জয়। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকোকে আর্নে স্লটের শিষ্যরা হারিয়েছে ৩-২ গোলে। অ্যান্ডি রবার্টসনের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান মোহামেদ সালাহ। মার্কোস ইয়োরেন্তের জোড়া গোলে পয়েন্ট পাওয়ার আশা জাগায় আতলেতিকো। কিন্তু শেষ সময়ে তাদের আশা গুঁড়িয়ে দেন ভার্জিল ফন ডাইক।

চতুর্থ মিনিটে তার নেওয়া নিচু ফ্রি কিকে আলতো এক ছোঁয়ায় বলের দিক পাল্টে দেন অ্যান্ডি রবার্টসন। জায়গায় দাঁড়িয়ে বলের জালে জড়ানো দেখেন আতলেতিকোর জার্সিতে ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নামা ইয়ান ওবলাক।

দুই মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ান সালাহ। বল পায়ে কারিকুরি করে রায়ান খাফেনবেখকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, এরপর ফিরতি পাস ধরে প্রতিপক্ষের তিন জনের চ্যালেঞ্জ সামলে নিচু শটে গোলটি করেন মিশরের ফরোয়ার্ড।

১৫ মিনিট পর গোল হতে পারতো আরেকটি; তবে এবার তার জোরাল কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম খেলতে নামা আলেকসান্দার ইসাকের ৪১তম মিনিটে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। পরের মিনিটে ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে থেকেও ওবলাকের চ্যালেঞ্জের মুখে হতাশ করেন ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎস।

এরপরই একটি গোল শোধ করে লড়াইয়ে ফেরে আতলেতিকো। জাকোমো রাসপাদোরির পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে আলিসনকে পরাস্ত করেন মার্কোস ইয়োরেন্তে। এটা ছিল লক্ষ্যে তাদের দ্বিতীয় শট।

দারুণ গোছানো এক পাল্টা-আক্রমণে ৬৫তম মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও হতাশ হতে হয় সালাহকে। ভিয়েৎসের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে তার নেওয়া শট বাধা পায় পোস্টে।

ওই ব্যর্থতা অনেক বড় হয়ে ওঠে পরে, ৮১তম মিনিটে ইয়োরেন্তের দর্শনীয় গোলে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে সমতা টানেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় যেন মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। টানা আক্রমণে পরপর কয়েকটি কর্নার পায় তারা। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তেমনই এক কর্নারে হেডে দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন অধিনায়ক ও ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইক।