নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, আসন্ন রমজান মাসে কোনো পণ্যেরই ঘাটতি হবে না। আগামী মঙ্গলবার তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে কাজ করেছে।’
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে সে জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মাস খানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেটার বাস্তবায়ন হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের বাণিজ্যসংক্রান্ত মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দেশের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করছেন। এ কারণে মিটিংয়ের তারিখ পিছিয়ে গেছে। তবে সেটি এই সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হচ্ছে। রোজার আগেই ভারত থেকে পরিশোধিত চিনি এক লাখ টন ও পেঁয়াজ ৫০ হাজার টন আনা হবে।
পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনে পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। বাসে যেমন ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, তেমনি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। সেখানে তেলের দাম পুনর্র্নিধারণ করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য টাস্কফোর্সের বৈঠকে বসে করা হবে। আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। বাকি সময়টা আমাদের প্রস্তুতির জন্য। আমরা চেষ্টা করবো, বৈঠকে একটা দামও নির্ধারণ করতে। যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়, পরে সেটা পুনর্র্নিধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় গেলে সেই উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্র্নিধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধাটা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাবো।
এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং থাকবে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যে দিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করবো, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। সেটা হচ্ছে, এমআরপি সর্বোচ্চ এত টাকায় বিক্রি হবে, এর বেশিতে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।