নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসব পালন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। যার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। তবে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকলেও এই মহাসড়কে এখনো কোথাও কোনও ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।
চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমরাইল মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন আল আমিন নামের এক যাত্রী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা মনে হচ্ছে। বাসের টিকিট পেতে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চলে আসবে।
আল আমিনের মতো একই সুরে বলেন আব্দুর রহিম নামের আরেক যাত্রী। তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সবসময় মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা থাকলেও এবার তা দেখছি না। আশা করছি, নির্বিঘ্নেই গন্তব্যস্থলে যেতে পারবো।
মো. সুমন মিয়া নামের হানিফ পরিবহনের এক বাসচালক বলেন, সায়েদাবাদ থেকে অল্প সময়েই শিমরাইল মোড় এসেছি। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ থাকায় কোথাও কোনো যানজট নেই। আবার মহাসড়কের কোথাও কোনো খানাখন্দ না থাকায় আমাদেরও বাস চালাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।
তিশা পরিবহনের চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঈদের আগে এই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এতোটা ফাঁকা পাব ভাবতেই পারিনি। ঈদের আগে যে গাড়ি চালাচ্ছি এটা মনেই হচ্ছে না। যেহেতু রাস্তা ভালো আছে তাই আমরা চালকরা রাস্তায় এলোমেলো গাড়ি না চালালে এবার সমস্যা হবে না।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।
এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমরা নজরদারির মধ্যে রেখেছি।