Dhaka বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ৭ প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ৭টি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীন ফান্ড, গ্রামীণ মৎস ফাউন্ডেশান, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি নামের প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত ১৬টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের কোন টাকা নেই। একই সঙ্গে তিনি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ৮টি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

তবে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দাবি নিয়ম মেনেই ৭টি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালনা মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে।

তিনি বলেন, ওই ৭টি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্টি হয়েছে, এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে। আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান জবর দখল করিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক টাকা লোপাট হয়েছে। অনেক টাকা বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে।

ড. সাইফুল বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. ইউনূসকে সরানো হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দুই ভাগে দেয়া হয়েছে। অর্ধেক ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত। আর বাকিটা গ্রামীণ ব্যাংকের।

তিনি বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের আলামত আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে কাউকে দোষী করছি না। পরে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এসময় গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান আইন কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মাসুদ আকতার বলেন, ড. ইউনূস আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। সর্বোপরি, গ্রামীণ ব্যাংকের কোনও মালিকানা নেই। এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সদস্যদের কল্যাণে এ ব্যাংক কাজ করবে। এদেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের ভাগ্য এ ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে আন্তরিকভাবে বিষয়গুলো সমাধান করা আমাদের লক্ষ্য। আজ যারা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তারাও গ্রামের দরিদ্র-ভূমিহীন সদস্যদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ দরিদ্র-ভূমিহীন ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আক্তার বলেন, ‘ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কারওয়ান বাজার এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩০

‘গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ৭ প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে’

প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় ৭টি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীন ফান্ড, গ্রামীণ মৎস ফাউন্ডেশান, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি নামের প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত ১৬টি প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের কোন টাকা নেই। একই সঙ্গে তিনি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ৮টি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

তবে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দাবি নিয়ম মেনেই ৭টি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালনা মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে।

তিনি বলেন, ওই ৭টি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্টি হয়েছে, এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে। আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান জবর দখল করিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক টাকা লোপাট হয়েছে। অনেক টাকা বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে।

ড. সাইফুল বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. ইউনূসকে সরানো হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দুই ভাগে দেয়া হয়েছে। অর্ধেক ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত। আর বাকিটা গ্রামীণ ব্যাংকের।

তিনি বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের আলামত আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে কাউকে দোষী করছি না। পরে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এসময় গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান আইন কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মাসুদ আকতার বলেন, ড. ইউনূস আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। সর্বোপরি, গ্রামীণ ব্যাংকের কোনও মালিকানা নেই। এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সদস্যদের কল্যাণে এ ব্যাংক কাজ করবে। এদেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের ভাগ্য এ ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে আন্তরিকভাবে বিষয়গুলো সমাধান করা আমাদের লক্ষ্য। আজ যারা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তারাও গ্রামের দরিদ্র-ভূমিহীন সদস্যদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ দরিদ্র-ভূমিহীন ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আক্তার বলেন, ‘ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে।’