নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা বাবদ ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৮ টাকা দানকর পরিশোধ করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পে-অর্ডারের মাধ্যমে তিনি এই অর্থ পরিশোধ করেছেন।
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা বাবদ নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকার বেশি দানকর দিতে হবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। গত রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে ড. ইউনূসের পক্ষে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
গত ৩১ মে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে ড. ইউনূস যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২০ জুন তিনটি লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এনবিআর ড. ইউনূসের কাছ থেকে জরিমানাসহ মোট কর পাওনা দাবি করে ১৬ কোটি আট লাখ ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টার ট্রাস্টে ড. ইউনূস দান করলেও তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সব ধরনের ব্যয় বহন করত এসব প্রতিষ্ঠান। যা আইনের লঙ্ঘন।
এনবিআরের দাবি করা অর্থের মধ্যে ড. ইউনূস আয়কর পরিশোধ করেন ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা। পরিশোধের এই টাকা বাদ দিলে জরিমানাসহ ইউনূসের কাছে এনবিআরের পাওনা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৮ টাকা।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তাঁর দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না। এরপর ২০১৪ সালে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন। তিনি বলছেন, এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে, এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল।
পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো সঠিক বলেন এবং আবেদনগুলো খারিজ করে দেন। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার বেশি দাবি করে। যার মধ্যে তিন কোটি টাকার মতো পরিশোধ করা হয়।
 
																			 
										 নিজস্ব প্রতিবেদক
																নিজস্ব প্রতিবেদক								 

























