Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্বাচন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নজিরবিহীনভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি সুবিধাভোগী ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে ভোট দিতে।

এ সময় প্রহসনের এই নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, ভোট বর্জন এখন দেশের মানুষের প্রধান দায়িত্ব, দেশের মানুষ তা পালন করবেন। আপনারা যে যার স্থান থেকে ভোট বর্জন করুন।

মঈন খান বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো ভয়াবহ নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের অধিকার হনন করে তারা নিজেদের মধ্যেই নির্বাচন করতে চাচ্ছে, যা দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। কঠোর হস্তে দমন করবে।

বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন রুখে দেওয়ার যে চেষ্টা আওয়ামী লীগ করেছে তা কখনো সফল হয়নি কোন দিন হবেও না।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে আটকে রেখে তারা নির্বাচনে আসার প্রস্তাবেই বোঝা যায় তাদের চরিত্র কতটা স্বচ্ছ৷ তাদের সকল কর্মকাণ্ড আমাদের ও দেশের মানুষের কাছে এখন তামাশাই বটে।

বিএনপিসহ দেশের মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান করে মঈন খান বলেন, যে কোন মূল্যে পাতানো এই নির্বাচন রুখে দিতে হবে। সে জন্য যে যার স্থান থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা দলীয়ভাবে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। বিএনপির হরতাল পালনের মাধ্যমে এই নির্বাচন বর্জন করবে। সেই সাথে দেশের মানুষও ভোট বর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।

আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন খান বলেছেন, ‘ডামি প্রার্থীর কথা সরকার নিজেই বলেছে। শুধু ডামি প্রার্থী ও দল নয়; আজকে এই সরকার যে পর্যায়ে এসেছে, তাঁরা ডামি ভোটারও তৈরি করছে।’

মঈন খান বলেন, সাজানো এই নির্বাচনে কিছুটা বৈধতা অর্জনের প্রয়াসে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক ভোটার উপস্থিতি উপস্থাপনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ একের পর এক অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী অন্তত ১ কোটি মানুষকে বেছে নিয়েছে তাঁরা। ভোটকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দিয়ে তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে সামাজিক সুবিধাভোগী এই সমস্ত মানুষের সুবিধা বাতিল হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

মঈন খান আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নিজ দায়িত্বে মরিয়া হয়ে নির্বাচনে প্রতিদিন প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করছে।

তিনি বলেন, ভোট ঘিরে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সেই আন্দোলনকে বিপদগামী করতে উস্কানি দিচ্ছে। অপকর্মের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।

মঈন খান বলেন, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মঈন খান বলেন, ডামি প্রার্থীর পর এবার ডামি ভোটার নিশ্চিতের পাঁয়তারা চলছে। সারা দেশে চলছে ভোটার উপস্থিতিতে হুমকি-ধামকি। সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, চাপ দেয়া হচ্ছে। ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সুবিধাভোগী ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে ভোট দিতে।

তিনি বলেন, ভাতাভোগী, সরকারি চাকরিজীবীদের ভোট নিশ্চিত করতে নানা ফন্দি আঁটা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দিয়ে জাল ভোট দেয়ার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ বর্জন করেছে। এই নির্বাচন সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রতীক। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় এই নির্বাচন ও ফলাফল হতে যাচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, সরকারি ভাতা নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বন্ধের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের পোষ্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অথচ প্রবাসী বাংলাদেশীরা বহু বছর ধরে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার কথা বললেও বাস্তবায়ন হয়নি। আনসার ভিডিপি’র কর্মরতদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পরিবারসহ ভোট দিতে। সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।

মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি আহ্বান সরকারের হুমকি ধামকিতে চিন্তিত হবেন না। যারা ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চায় তাদের চিহ্নিত করুন। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, তাই তাদের আর ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যারা কারচুপির নির্বাচনে সহায়তা করছে তারা ভবিষ্যতে বিচারের আওতায় আসবে। সর্বজনীন ভোট বর্জনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

বিদেশে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, সরকারকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হবে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জয় নয়, পরাজয়ের দিন হবে। সেদিন গণতন্ত্রের নতুন করে অপমৃত্যু হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানস্থলে বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০

১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০২:১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্বাচন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নজিরবিহীনভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি সুবিধাভোগী ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে ভোট দিতে।

এ সময় প্রহসনের এই নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেছেন, ভোট বর্জন এখন দেশের মানুষের প্রধান দায়িত্ব, দেশের মানুষ তা পালন করবেন। আপনারা যে যার স্থান থেকে ভোট বর্জন করুন।

মঈন খান বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো ভয়াবহ নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের অধিকার হনন করে তারা নিজেদের মধ্যেই নির্বাচন করতে চাচ্ছে, যা দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। কঠোর হস্তে দমন করবে।

বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন রুখে দেওয়ার যে চেষ্টা আওয়ামী লীগ করেছে তা কখনো সফল হয়নি কোন দিন হবেও না।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে আটকে রেখে তারা নির্বাচনে আসার প্রস্তাবেই বোঝা যায় তাদের চরিত্র কতটা স্বচ্ছ৷ তাদের সকল কর্মকাণ্ড আমাদের ও দেশের মানুষের কাছে এখন তামাশাই বটে।

বিএনপিসহ দেশের মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান করে মঈন খান বলেন, যে কোন মূল্যে পাতানো এই নির্বাচন রুখে দিতে হবে। সে জন্য যে যার স্থান থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা দলীয়ভাবে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। বিএনপির হরতাল পালনের মাধ্যমে এই নির্বাচন বর্জন করবে। সেই সাথে দেশের মানুষও ভোট বর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।

আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন খান বলেছেন, ‘ডামি প্রার্থীর কথা সরকার নিজেই বলেছে। শুধু ডামি প্রার্থী ও দল নয়; আজকে এই সরকার যে পর্যায়ে এসেছে, তাঁরা ডামি ভোটারও তৈরি করছে।’

মঈন খান বলেন, সাজানো এই নির্বাচনে কিছুটা বৈধতা অর্জনের প্রয়াসে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক ভোটার উপস্থিতি উপস্থাপনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ একের পর এক অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী অন্তত ১ কোটি মানুষকে বেছে নিয়েছে তাঁরা। ভোটকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দিয়ে তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে সামাজিক সুবিধাভোগী এই সমস্ত মানুষের সুবিধা বাতিল হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

মঈন খান আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নিজ দায়িত্বে মরিয়া হয়ে নির্বাচনে প্রতিদিন প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করছে।

তিনি বলেন, ভোট ঘিরে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সেই আন্দোলনকে বিপদগামী করতে উস্কানি দিচ্ছে। অপকর্মের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।

মঈন খান বলেন, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মঈন খান বলেন, ডামি প্রার্থীর পর এবার ডামি ভোটার নিশ্চিতের পাঁয়তারা চলছে। সারা দেশে চলছে ভোটার উপস্থিতিতে হুমকি-ধামকি। সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, চাপ দেয়া হচ্ছে। ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সুবিধাভোগী ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে ভোট দিতে।

তিনি বলেন, ভাতাভোগী, সরকারি চাকরিজীবীদের ভোট নিশ্চিত করতে নানা ফন্দি আঁটা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দিয়ে জাল ভোট দেয়ার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ বর্জন করেছে। এই নির্বাচন সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রতীক। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় এই নির্বাচন ও ফলাফল হতে যাচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, সরকারি ভাতা নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বন্ধের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের পোষ্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অথচ প্রবাসী বাংলাদেশীরা বহু বছর ধরে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার কথা বললেও বাস্তবায়ন হয়নি। আনসার ভিডিপি’র কর্মরতদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পরিবারসহ ভোট দিতে। সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।

মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি আহ্বান সরকারের হুমকি ধামকিতে চিন্তিত হবেন না। যারা ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চায় তাদের চিহ্নিত করুন। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, তাই তাদের আর ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যারা কারচুপির নির্বাচনে সহায়তা করছে তারা ভবিষ্যতে বিচারের আওতায় আসবে। সর্বজনীন ভোট বর্জনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

বিদেশে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, সরকারকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হবে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জয় নয়, পরাজয়ের দিন হবে। সেদিন গণতন্ত্রের নতুন করে অপমৃত্যু হবে।