Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্থিতিশীল সবজি ও পেঁয়াজের বাজার, কমেছে মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরবরাহ ভালো থাকায় আলুসহ সবজি ও পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমেছে। সব ধরনের মুরগির কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বাজারগুলোতে মাছের বাজার চড়া দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে কেজিপ্রতি লম্বা বেগুন ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। আর মুন্সীগঞ্জের আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস গত সপ্তাহে ছিল ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা। খাসি ও পাঁঠা ছাগলের দামও কেজিতে অন্তঃত ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়।

ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা আর সাদা ডিম ১০৫ থেকে ১১০ দরে বিক্রি হয়েছে। তবে হাঁসের ডিমের দাম ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দর গত সপ্তাহের মতোই আছে। বাজারে আকার, ওজন ও মান অনুযায়ী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। রুই ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মুদি পণ্যের দামেও তেমন হেরফের নেই। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, কাজু বাদাম ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মান ভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত সাদা চিনি ১২৫ টাকা, খোলা সাদা চিনি ১২০ টাকা, খোলা লালচিনি ১৪০ টাকা, প্যাকেট লালচিনি ১৭০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় দরে বিক্রি হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

স্থিতিশীল সবজি ও পেঁয়াজের বাজার, কমেছে মুরগির দাম

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরবরাহ ভালো থাকায় আলুসহ সবজি ও পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমেছে। সব ধরনের মুরগির কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বাজারগুলোতে মাছের বাজার চড়া দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে কেজিপ্রতি লম্বা বেগুন ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। আর মুন্সীগঞ্জের আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস গত সপ্তাহে ছিল ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা। খাসি ও পাঁঠা ছাগলের দামও কেজিতে অন্তঃত ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়।

ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা আর সাদা ডিম ১০৫ থেকে ১১০ দরে বিক্রি হয়েছে। তবে হাঁসের ডিমের দাম ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দর গত সপ্তাহের মতোই আছে। বাজারে আকার, ওজন ও মান অনুযায়ী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। রুই ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মুদি পণ্যের দামেও তেমন হেরফের নেই। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, কাজু বাদাম ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মান ভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত সাদা চিনি ১২৫ টাকা, খোলা সাদা চিনি ১২০ টাকা, খোলা লালচিনি ১৪০ টাকা, প্যাকেট লালচিনি ১৭০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় দরে বিক্রি হয়েছে।