সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে ‘ভারতীয় খাসিয়ার’ গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে সীমান্তবর্তী নাজিরেরগাঁও কাওয়ারটুক ১২৫৩ পিলারের ওপারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কালাইরাগের প্রয়াত ফজর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৩০) এবং একই এলাকার প্রয়াত সুন্দর আলীর ছেলে কাওসার আহমদ (২৫)। আহত ব্যক্তির নাম নবী হুসেন। তিনি একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলী, কাউছার ও নবী হুসেন সীমান্তের ওপার থেকে প্রায়ই বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো রোববার তারা ভারতে প্রবেশ করেন। বিকেল ৩টার দিকে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে আলী ও কাউছার নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে ফিরে আসেন নবী হুসেন।
উত্তর রণিখাই ইউপির চেয়ারম্যান মো. ফয়জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে হোসেন ও কাওসার নামে দুজন মারা গেছেন। আরও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তারা মাঝে মধ্যে লাকড়ি ও কাঁঠাল আনতে ওপারে যেতেন। আজও কয়েকজন মিলে গিয়েছিলেন। দুজন নিহত হন। লাশ দুটি ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। খবর পেয়ে বিজিবি সেখানে গেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কালাইরাগ বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার ও মিডিয়া উইং বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত দুজনের মরদেহ এখনও দেশে নিয়ে আসা হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় দুজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিজিবি কালাইরাগ বিওপির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারাও দুজন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা লাকড়ি আনতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জানা গেছে। তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) না খাসিয়ারা গুলি করেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহত দুজনের মরদেহ এখনও সীমান্তের ওপারে পড়ে আছে। মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি-বিএসএফের আলোচনা চলছে বলে জানতে পেরেছি।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে আলী ও কাওসার নামে বাংলাদেশি দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন, শুনেছি।
উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফখরুল মিয়া বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ নাজিরেরগাঁও কারবালারটুক সীমান্ত এলাকায় পড়ে থাকতে দেখেছি। এ ঘটনা নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে। মরদেহ দুটি বিজিবির আওতায় রাখা আছে জেনেছি।