Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্ক জোরালো করতে সৌদি সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সৌদি আরবে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো করাই তার এই সফরের উদ্দেশ্য।

গত কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদেশে গেলেন।

ইতোমধ্যে ব্লিংকেন সৌদিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে মূলত আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ব্লিংকেন এবার অন্য সৌদি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মানবাধিকারের উন্নতিরভিত্তিতে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হয়েছে। তাছাড়া সুদান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে সহায়তা করায় সৌদি আরবকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সৌদিতে মার্কিন কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার এটি দ্বিতীয় সফর। তিন দিনের এই সফরে সৌদির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক। এর আগে ৭ মে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সৌদি সফর করেন।

সৌদি আরব তাদের তেল উৎপাদন দিনে ১০ লাখ ব্যারেল কম করেছে। তেলের দাম যাতে বাড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র খুশি নয়। তাছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার হয়েছে।

ব্লিংকেনের এই সফরের দুইটি উদ্দেশ্য আছে। এক, তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখা। দুই, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করা। তাছাড়া তাদের আশা, সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কও এবার ভালো হবে।

সম্প্রতি তেল উৎপাদন দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল কম করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। তেলের বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার।

ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অফ ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিস-এর পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ বলেছেন, ব্লিংকেনের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো, চীন ও সৌদি আরব যাতে খুব কাছাকাছি না আসে তা নিশ্চিত করা। ব্লিংকেন সৌদি আরবকে বোঝাবার চেষ্টা করবেন, চীন কেন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকলে সৌদির কী লাভ হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সম্পর্ক জোরালো করতে সৌদি সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সৌদি আরবে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো করাই তার এই সফরের উদ্দেশ্য।

গত কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদেশে গেলেন।

ইতোমধ্যে ব্লিংকেন সৌদিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে মূলত আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ব্লিংকেন এবার অন্য সৌদি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মানবাধিকারের উন্নতিরভিত্তিতে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হয়েছে। তাছাড়া সুদান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে সহায়তা করায় সৌদি আরবকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সৌদিতে মার্কিন কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার এটি দ্বিতীয় সফর। তিন দিনের এই সফরে সৌদির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক। এর আগে ৭ মে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সৌদি সফর করেন।

সৌদি আরব তাদের তেল উৎপাদন দিনে ১০ লাখ ব্যারেল কম করেছে। তেলের দাম যাতে বাড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র খুশি নয়। তাছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার হয়েছে।

ব্লিংকেনের এই সফরের দুইটি উদ্দেশ্য আছে। এক, তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখা। দুই, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করা। তাছাড়া তাদের আশা, সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কও এবার ভালো হবে।

সম্প্রতি তেল উৎপাদন দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল কম করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। তেলের বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার।

ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অফ ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিস-এর পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ বলেছেন, ব্লিংকেনের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো, চীন ও সৌদি আরব যাতে খুব কাছাকাছি না আসে তা নিশ্চিত করা। ব্লিংকেন সৌদি আরবকে বোঝাবার চেষ্টা করবেন, চীন কেন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকলে সৌদির কী লাভ হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।