Dhaka সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারবাদী দল এমএফপিকে ভাঙার নির্দেশ দিল থাইল্যান্ডের আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডে গত বছর সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করা ‘সংস্কারবাদী’ দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ভেঙে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৭ আগস্ট) আদালত এ রায় দেন।

বিবিসি জানায়, দলটি নির্বাচনে জয় পেলেও সরকার গঠন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের রায়ে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ক্যারিশমাটিক, তরুণ সাবেক নেতা পিটা লিমজারোয়েনারট এবং আরও ১০ জন জ্যেষ্ঠ নেতাকে ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

দলটি নির্বাচনি প্রচারে থাইল্যান্ডের কঠোর রাজকীয় মানহানি আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের এই সংস্কার প্রতিশ্রুতি অসাংবিধানিক বলে জানুয়ারিতে রায় দেয় সাংবিধানিক আদালত।

এরপর আদালতের পক্ষ থেকে দলটি ভেঙে দেওয়ার আদেশের রায় আসাটা একরম অনুমিতই ছিল। দলটির বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিল থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন।

রায়ে আদালত বলেছে, কঠোর লেসে-ম্যাজিস্টি আইন (থাই রাজতন্ত্রকে যে কোনও ধরনের সমালোচনা কিংবা মানহানি থেকে সুরক্ষা আইন) পরিবর্তন করাটা সাংবিধানিক রাজতন্ত্রকে ধ্বংসের আহ্বান জানানোর শামিল।

রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ও মর্যাদা রক্ষায় অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো কতদূর যেতে ইচ্ছুক তা বুধবারের আদালতের এই সিদ্ধান্তই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। তবে আদালতের এ রায়েই থাই রাজনীতিতে সংস্কারবাদী আন্দোলনের অবসান ঘটাবে না।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ১৪২জন এমপি অন্য নিবন্ধিত দলে স্থানান্তরিত হবেন এবং পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০২০ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময়ও নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতরকম ভাল ফল করা ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই দলটিই পরে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিতে রূপান্তরিত হয়।

চার বছর আগের দল ভেঙে দেওয়ার আদালতের রায়ের পর নতুন প্রজন্মের ছাত্র কর্মীদের নেতৃত্বে রাস্তায় বিশাল বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল, যা ছয় মাস ধরে চলে। সে সময় রাজতন্ত্রকে আরও জবাবদিহির মুখে দাঁড় করানোর জন্য নজিরবিহীন দাবি ওঠে।

কর্তৃপক্ষ তখন থেকেই মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির এমপিসহ শত শত বিক্ষোভকারী ও নেতাদের বিচারের জন্য লেসে-ম্যাজিস্টি আইনের ব্যাপক ব্যবহার করেছে।

থাইল্যান্ডে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করার কারণে আইনটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ইশতেহারে এই আইনে সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবহাওয়া

সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন, ইসি দায় নেবে না : সিইসি

সংস্কারবাদী দল এমএফপিকে ভাঙার নির্দেশ দিল থাইল্যান্ডের আদালত

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডে গত বছর সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করা ‘সংস্কারবাদী’ দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ভেঙে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৭ আগস্ট) আদালত এ রায় দেন।

বিবিসি জানায়, দলটি নির্বাচনে জয় পেলেও সরকার গঠন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের রায়ে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ক্যারিশমাটিক, তরুণ সাবেক নেতা পিটা লিমজারোয়েনারট এবং আরও ১০ জন জ্যেষ্ঠ নেতাকে ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

দলটি নির্বাচনি প্রচারে থাইল্যান্ডের কঠোর রাজকীয় মানহানি আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের এই সংস্কার প্রতিশ্রুতি অসাংবিধানিক বলে জানুয়ারিতে রায় দেয় সাংবিধানিক আদালত।

এরপর আদালতের পক্ষ থেকে দলটি ভেঙে দেওয়ার আদেশের রায় আসাটা একরম অনুমিতই ছিল। দলটির বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিল থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন।

রায়ে আদালত বলেছে, কঠোর লেসে-ম্যাজিস্টি আইন (থাই রাজতন্ত্রকে যে কোনও ধরনের সমালোচনা কিংবা মানহানি থেকে সুরক্ষা আইন) পরিবর্তন করাটা সাংবিধানিক রাজতন্ত্রকে ধ্বংসের আহ্বান জানানোর শামিল।

রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ও মর্যাদা রক্ষায় অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো কতদূর যেতে ইচ্ছুক তা বুধবারের আদালতের এই সিদ্ধান্তই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। তবে আদালতের এ রায়েই থাই রাজনীতিতে সংস্কারবাদী আন্দোলনের অবসান ঘটাবে না।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ১৪২জন এমপি অন্য নিবন্ধিত দলে স্থানান্তরিত হবেন এবং পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০২০ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময়ও নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতরকম ভাল ফল করা ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই দলটিই পরে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিতে রূপান্তরিত হয়।

চার বছর আগের দল ভেঙে দেওয়ার আদালতের রায়ের পর নতুন প্রজন্মের ছাত্র কর্মীদের নেতৃত্বে রাস্তায় বিশাল বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল, যা ছয় মাস ধরে চলে। সে সময় রাজতন্ত্রকে আরও জবাবদিহির মুখে দাঁড় করানোর জন্য নজিরবিহীন দাবি ওঠে।

কর্তৃপক্ষ তখন থেকেই মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির এমপিসহ শত শত বিক্ষোভকারী ও নেতাদের বিচারের জন্য লেসে-ম্যাজিস্টি আইনের ব্যাপক ব্যবহার করেছে।

থাইল্যান্ডে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করার কারণে আইনটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির ইশতেহারে এই আইনে সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।