নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূসক ও কাস্টমস সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার যাদের চোখে পড়ে না, তারা আসলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন না। শুধু ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলো না দেখে ভালো বিষয়গুলোও দেখতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সুনাম রয়েছে জানিয়ে তা ধরে রাখার পরামর্শও দেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমার অনেক জুনিয়র অর্থনীতিবিদ আছেন যারা শুধু সরকারের ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলোই দেখেন। শুধু বলেন, এটা নেই, ওটা নেই। কিন্তু ভালো দিকগুলোর প্রতিও নজর দেয়া জরুরি।
তিনি বলেন, তবে সরকারের ভুল যে নেই, তা নয়। সমালোচনা করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। এতে ভুল সংশোধন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্নের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এখন থেকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সূক্ষ বিষয় থাকতে পারে। গ্লাসের অর্ধেক দিকটা না দেখে, পানি ভর্তি ওপরের দিকে তাকান। ক্রিটিসিজম আছে অনেকের ব্যাপারে। আমি সবসময় বলি, স্বচ্ছতা দিনের আলোতে বেরিয়ে আসে। আমার একটা কথা, সানশাইন ইজ দ্য বেস্ট অ্যান্টিসেপটিক। যতই সেভলন ব্যবহার করি, ডেটল ব্যবহার করি কিন্তু ড্রেসিংয়ের সময় দেখবেন ডাক্তাররা কিন্তু কোনো কিছু দেয় না। জাস্ট একটু মুছে দিয়ে দেয়।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার ওয়াইফ একদিন ড্রেসিং এর সময় বলল কিছুই তো দিচ্ছে না। ডাক্তারকে বললাম। উনি বললেন, কিচ্ছু লাগবে না। খালি একটা গজ দিয়ে একটু ওপরের দিকে ড্রেসিং করে দিলেন। বললেন, বাতাস ও সূর্যের আলোতে সুস্থ হয়ে যাবে। হুইচ ইজ ট্রু।’
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া আরেকটু সহজ করার আহ্বান জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৫ বছরের বেশি। হয়তো একটু চেষ্টা করব। তবে ডিফিকাল্ট আমার জন্য। আমি খুব টেক স্যাভি না। এই খালি টেলিফোনটা, মেসেজটা নিতে পারি। আর ই-মেইল দিতে পারি। এর বেশি কিছু করলে, আটকে গেলে, আমি পারি না। এটা কিন্তু সবার জন্য। এটা ইউনিভার্সাল একটা সিস্টেম। সবাই বুঝতে পারবে। কম্পিউটারের ভাষা এমন ভাষা যে সবাই বুঝতে পারবে, অ্যাক্সেস করতে পারবে। শিগগির কিন্তু এটা লোকজন ব্যবহার করবে।’
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ইউনিটির (ইআরএফ) সভাপতি দৌলত আক্তার মালা। এছাড়া সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুবিনুল কবীর, সদস্য (কর নীতি) বদিউল আলম চৌধুরী, সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।